আবার জন্মালে ও অন্যান্য কবিতা

 

অতিথি

একরাশ পড়বে খসে তারা
আকাশ ছেড়ে এক্ষুনি
তুমি কি থামবে ক্ষণিক?
এক মুঠো চিতার আগুন
হৃদয়ে পুষে
কতকাল
বাড়াবে পর্বতের ঋণ!
পরস্পর দোষারোপ করে 
যাবে ভুলে
‘এসেছি’ বলে তুমি আসোনি।
সব হারিয়ে মনে পড়ে
আলোর রেখা
চলে যাওয়ার মগ্ন বিষাদ দৃশ্যটি।


আবার জন্মালে

আবার জন্মালেও কি হবে না ভুল?
হবে।    
কেননা সত্যনম, পুণ্যম, চূড়ান্ত সুন্দরম
বলতে কিছু নেই,
জন্মালে আবার ওসবও বাঁধবে বাসা
খুঁজবে আবার আত্ম সচ্চিদানন্দ!
আদি অন্তবিহীন
যা কিছু নও তুমি।

পথে পথে কত ছলাকলা
লুকাবে কেবল তুমি প্রাণ,
নও প্রাণীর ধারা!
আবার জন্মাবে?
কত জন্ম দরকার
বুঝতে,
একটি লাল সুতার বল বিশ্বাসে ভর করে
গড়িয়ে চলছে অচেনা অতীত।
নতুন করে তৈরি হওয়া,
নতুন সব সরোবরে পুরোনো জলচর
ফের তার সঙ্গী হবে!

রাজ্য জয়ের বাসনা আবার!
রাজা এক পরনির্ভরশীল ভিখিরি,
রাজ্য ভক্তির নামে এত হেলা, অবহেলা নিজেকে নিজে!


প্রায়শ্চিত্ত

হে আমার প্রায়শ্চিত্ত,
এই অবেলায় চেয়ো না সময়!
সুদীর্ঘ এই পত্রখানি শেষ হলে
কেউ দেখার আগেই ভাসিয়ে দেব 
কাগজের নৌকায়।
তার আগে,
একটু সবুর করো!

 

শেষ মুহূর্তে

কেবল কি সুখী হতে চেয়েছিলে একা?
এমন তো হওয়ার কথা ছিল না!
রাস্তা পার হয় রোদের ডানা
বৃষ্টি ধোয়া কবরীর ভাঁজে
কিশোরী আলাপন সাদরে রেখো পুষে।
চোখ মায়া রেখে বাঁকখালীর চরে
ভাসিয়ে দিও নিজস্ব চাঁদ,
দেবদারু বনে ছায়াপথ ঘিরে সুখের অনুতাপ।
মাটি মেখে গাছের কাছে 
কাটানো শৈশব
বিবর্ণ বসত বাড়ির দেয়াল ছেড়ে
ধূসর আকাশের নিচে,
হেঁটে যাওয়া ধূসরতম মানুষের চোখ
আজও সবুজ দেখে।