ভোররাতে ঘুমের কাছে জেগে উঠে

 

কোনো ঘুম কি আদৌ কখনও ছিল? রাতের পর রাত পেরিয়ে গেছেমাথার মধ্যে বাসা বেঁধে আছে এক সন্ধানকেউ যেন তাকে ঘোরাচ্ছেনামধাম জানে না শুধু এক জটিল রাস্তা তাকে নিয়ে পাঁচমাথায় গিয়ে এক সস্তার সমীকরণে ঘুরিয়ে মারছে 

 

বলে দিতে পারাটা কোনো কাজের কথা নয়আজও মনে পড়ে। উত্তর বললেই মাথা খুঁজে নেয় আরও এক সিঁড়িভুলের কথা আর তো মনে পড়ে নাকে শেখাবে জল পার হয়ে আরও এক জলে দিতে হয় পালিখে যাওয়াটাই তো কাজকোথাও কোনো পৌঁছানো নয়এক নদী জেনে গেলে সামনে আরও এক বিস্তার 

 

না, কোনো কথাই বলি নিহেঁটে হেঁটে কত কত অন্ধকার লিখে রেখেছি গাছে গাছেএকজনও জানে না বর্ষার কথাজলের ফোঁটা তো এক একটা আলোর পাজলে জলে যে চোখের পাতা বুজে আসে আমার কথায় কে আর জেগে থাকবে জল পাতা অন্ধকার ছুঁয়ে ছুঁয়ে 

 

সকালের ঘোর লেগে গেলে, না বলাও অপরাধ হয়ে যায়সকলের কি মধ্যাহ্ন হয়? পাশ দিয়ে হেঁটে যায় গুটি গুটি পাপার হয়ে গেলেই বুঝি ছোঁয়া যায় সব ক'টি দিক? অথবা লিখে ফেললেই পড়া হয়ে যায় মধ্যাহ্নের সব ক'টি গলিঘুঁজি? অথচ এমনই পড়া হয়ে যায় যাবতীয় প্রচারপত্রেসময়ে অসময়ে এসে ওঠে বারান্দায় অথবা চারদেয়ালের যাবতীয় থালা গেলাস বাটির নিজস্ব অচলায়তনে 

 

বলে ফেলার পরেও কোথাও কোনো সকাল নামবে না বরং যেখানে যা ছিল তা অনেকখানি গুটিয়ে এসে এক জায়গায় এমন জড়ো হয়ে থাকবে মনে হবে বলে ফেলার পর সবকিছু জেনে গিয়ে বদলে ফেলেছে নিজেদের অবস্থানবলে ফেললে বুঝি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে দিগন্তের সবুজ রেখা? তুমুল বৃষ্টিতে হাপুসুটি ভিজে যে কথা বলে ফেলা যায় তার রঙ তখনও অমলিন তবুও কোনো ঠোঁটে একটুও লাগে না বৃষ্টির গভীর গোপন রঙ