দুঃখবোধের সমাজ ও অন্যান্য কবিতা

 

বাংলাদেশ

গুহামূখী মানুষের রাষ্ট্রে বিশকোটি মানুষের বাস
প্রত্যেক জীবনের গল্প একজনের জীবনকে ঘিরে আবর্তিত।

কারাগারে একেকজন যন্ত্রণার পুতুল। কারো বিষয় কাউকে ভাবিয়ে তোলে না।
কাছে টেনে মারতে চায়। সুযোগ পেলে নিজেই মরতে চায় কল্পনা কিংবা বাস্তবে।

অদ্ভুত আঁধার। রক্তলাল পৃথিবীতে মানুষ আনন্দময় মৃত্যুর জন্যও মিছিল করে!

 

লাশের ব্যবসা!

ভাসমান সমাজে দগদগে ঘা নিয়ে বুঝলাম
অযাচিত বেঁচে থাকার চেয়ে লাশের ব্যবসা অনেক আদর্শের।

আর আদর্শ লাভের হিসাব কষতে কষতে

মহানন্দে উসকে মৃত্যুর পাহাড়ে একদিন আয়োজন করি ভোজের
ঠিকঠাক লোক না পেয়ে সবিনয়ে আমি আমাকে দাওয়াত করলাম!

 

দুঃখবোধের সমাজ

সত্য ও মিথ্যার সাঁকোতে চলছি তো চলছি। পরস্পরের চোখমুখ দেখে বেদনার খাটে সঙ্গম শেষে ঘুমুতে যাই। কুসুমভোরে দুঃখ সন্তানের জন্ম হয়। নীলাকার দুঃখমাতা ঋতু বদলের পালা গোনে। বেদনাবিধুর সুরে পাখিদের ডাক ভাগাভাগি করতে চায় শিল্পের মতো সন্ধ্যাবোধ!

প্রতিবাদ জানায় পাখিরাদুঃখবোধের আলাদা সমাজ আছে। তারা মানুষের দুঃখের ন্যায় অনাবশ্যক হাহাকার করে না। বেলা অবেলায় মিলে-মিশে থাকে। অনুরাগে ঝরাপাতা নিয়েও প্রার্থনা করে। অন্যদিকে অস্থির মানুষের দুঃখ কৃষাণীর চিটার মতোএক কুলায় থেকে আরেক কুলায় ফিরে।

সেই থেকে মানুষের দুঃখ ইস্ত্রিবিহীন জামার মতো; কখনো গায়ে কখনো হ্যাঙ্গারে। অদল বদলের বেদনার জীবন, ভাসতে থাকে পদ্মপাতার মতো।