বর্ষা নিয়ে একগুচ্ছ কবিতা

 

 

বর্ষা নিয়ে একগুচ্ছ কবিতা

বর্ষা এলেই উৎসবে মাতে সবুজ পাতা
বর্ষা এলেই প্রাণ ফিরে পায় কবির খাতা
বর্ষা এলেই মেঘগুলো যেন দস্যি মেয়ে
বর্ষা এলেই বিরহ আসে হুমড়ি খেয়ে

 

স্তব্ধ দুপুর, ভাঙছে যেন রোদের নূপুর
পাখির ডাকে খাঁ-খাঁ করে সবুজ পুকুর,
হঠাৎ এল বুনো মেঘের দল
ঝুমঝুম
বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় ভালোবাসা ঘুমঘুম

 

বৃষ্টিরা সব দুষ্টু মেয়ে
মিষ্টি করে হাসে না
বর্ষা ছাড়া আর দশ মাস
আমায় ভালোবাসে না

 

আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে
কাক ভিজছে, কিশোরী ভিজছে
ভিজছে কারো চুল,
তোমার জন্য আমার হাতে
ফুটে থাকা কদম ফুল
বৃষ্টিভেজা কিশোরের প্রথম ভুল


বৃষ্টি তোমাকে একলাই ভালোবাসে?

তুমি কি ভেবেছ বৃষ্টি শুধু তোমার জন্য নামে?
আমিও লিখেছি প্রেমপত্র আকাশের নীল খামে
চিত্রার পারে সুলতান এসে মেঘের ছবি আঁকে
বিরহের গান কোরাসে গাইতে বিদ্যাপতি ডাকে।
ফোঁটা না পড়তেই মীনকুমারীর লিবিডো ছোটাছুটি
আষাঢ় এসেছে দেখতে পাও না বিজলির কাটাকাটি
তুমি কি ভেবেছ বৃষ্টি তোমাকে একলাই ভালোবাসে?
তুমি না এলেও বর্ষা ঠিকই চুপিচুপি ছাদে আসে


মেঘদূত ১৪২৯

আকাশ কালো মেঘ জমেছে মনের কোণে কোণে
আমি পড়ে আছি রামগড়ে, তুমি সুদূর নগরীতে,
তোমার জন্য বৃষ্টির জল কামনা-কাতর মন
না-পাওয়া প্রেম কবিতা হয় না বিরহের বিপরীতে।
মেঘকে ডেকে তোমার জন্য পাঠিয়েছি কিছু চিঠি
গুগল এসে কানে কানে বলে, কালিদাস মরে ভূত,
চিঠি আর কি ফুসমন্ত্রে পাঠিয়ে দেব তোমার ছবি
মেঘদূত তবে নতুন করে লিখবে ঠাকুর পুত?
বৃষ্টিতে ভিজে সেলফি তুলবো লাইক পাবে হাজার
বর্ষা কি আর বিরহ এখন? বিশ্ব ভোগের বাজার

 

চুপ

তোমার ছাদে বাজছে নূপুর, শুনতে পাচ্ছ? চুপ,
মেঘবালিকা ওই তো এলো
একটু জ্বালাও ধূপ।
একটা শালিখ ভিজবে বলে মেঘের দিকে চেয়ে
বৃষ্টি নামের জলের ফোঁটা আমার দু চোখ বেয়ে
কষ্ট ছিল, কষ্ট আছে, মেঘের কষ্ট কীযে অপরূপ
বৃষ্টি আসছে, মন-খারাপের আসর বসবে, চুপ