ধন্য ধন্য বয়স ও অন্যান্য কবিতা

 

ফিউচার

আমাদের সামনে একটা ফিউচার আসছে
লাল জামা গায়ে, লাল জুতো পায়ে

ফিউচার কথা বলবে
ফিউচার হাসবে
ফিউচার ঘাড়ে পিঠে স্বপ্নে বিছানায় মাথার ওপর

পরিচ্ছন্ন একটি উঠোন, নীল বারান্দা
সাজানো ফুলের দোলনা আর তুলোর পোশাক

সানকে আসতে বলেছি সকাল সকাল
মুনকে হাসতে বলেছি জ্যোৎস্নার সাথে
টবের ফ্লাওয়ারগুলি ফুটে উঠলে
ফিউচার হাওয়া খাবে পৃথিবীর ছাতে

 

ধন্য ধন্য বয়স

এ বয়স জ্যাঠার

এ বয়স কাকুর
এ বয়স বড়দার

এ বয়সে গাড়ি চালাবেন না
এ বয়সে মদ খাবেন না
এ বয়সে মেয়েদের দিকে তাকাবেন না
এ বয়সে সাঁতার কাটবেন না

এ বয়স ধর্মের
এ বয়স সহ্যের
এ বয়স মৃত্যুর

 

সর্বনাশ

সর্বনাশ ছাড়া কিছু নেই
একথালা সর্বনাশ সমস্ত বাঁচার ভেতর
কেমন বিষাদ মাখিয়ে দেয়

ভাঙা সাঁকোর গায়ে মরা প্রজাপতি ওড়ে 
যদিও বিবর্ণ ডানা
কোকিল আসেনি বলে বসন্ত বিকেলে
অদ্ভুত শূন্যতারা বাতাসে দোলে

আমরা মুখ দেখি জলে
আমরা সবাই সর্বনাশ
যেকোনো দিন ডুবে যাব কলসি-দড়ি পেলে!

 

দুঃসময় পর্ব

দোমড়ানো সংসার

তার নিচে করুণার জল
চলো মঙ্গলগীত গাই

রোজ রোজ পোড়া গন্ধ
ঈশ্বরবিহীন যুদ্ধ
জয়লাভবিহীন জীবন
বাকি সব বাউলের একতারা

রোদে ও শিশিরে মেশা চকচকে আঁশ
চলো ব্যাং, দুপুর গড়ছে 
কুয়োর সীমানা ঘেরা নীল অভিযান

 

দুখণ্ড পৌরাণিকী

চোখের ভাষারা অরণ্য নিবেদন করে
তুমি সেই ঘৃতাহুতি হতে উঠে এলে
পশুপালনের পর যে উষ্ণতায় ঘর বাঁধা যায়
তার বীজ ছড়িয়ে দিলে
আর্যযুগ কথা বলে ওঠে

নিঃসন্দেহে তুমি আজ মেঘবতী রাধা
অথবা সূর্যকন্যা
সূর্যস্নানে নেমে মাতৃত্ব চেয়েছিলে

আমরা দূরে বিস্ময়সূচক
পরাশর ঋষির ঔরসে ভেসে যাই

কমলিনী মৎস্যগন্ধার পেটে জন্মাব আবার
আর্যযুগের পর একটি করুণ যুগ
উত্তর কুরুক্ষেত্র পর্ব হবে