বাতাসে বর্শা
১
সারি সারি দালানের পাটে ভাঁজ হওয়া ছোট আকাশ
কংক্রিটের গাছপালায় ঢেকে আছে দিগন্ত
রিকশার টিংটিং, গাড়ির ভেঁপুতে অস্পষ্ট নিঃশ্বাস
চিন্তার মাথাগুলো দুলছে ধরে জীবনের অন্যপ্রান্ত।
অনেকগুলো দেয়ালের সেট ধরা পড়ে সহজেই
সাফল্যের দরজার আগে কঠোর লুপ-হোল,
দাঁতালো বেড়ার উঁচু ঘাড় বাগানের পাশেই
পোড়া মাটির মূর্তিরা আগায়, গায়ে প্রাচীন দুর্গের বল্কল।
পেরিয়ে যাওয়া বয়স সাহায্য করতে পারে আবার
মনের পুনরুত্থানে, যা হয়ে উঠেছে শক্ত ও অদ্ভুত।
ধরে রাখার একটা প্রবাহ, একটা প্রবাহ ধরে থাকবার
সংক্ষুব্ধ ঝড়ের মাঝে হাল, টিকে থাকবার ইচ্ছেয় প্রযোজিত।
২
রাস্তারা ছিল কাচের মতোই—পা রাখলেই ভঙ্গুর
দাঁড়ানো ছিল মানব যান—সংশয় সংকুচিত
গড়গড় করে আসে—ভারী ট্রাক ও ক্রেন
কাঁপন ও উত্থান—জায়গা হয় না স্থিতির।
একটু আলোড়নের জন্য একটা হাতুড়ির বাড়ি
এটাই নাকি উদ্দীপনা! আর যাত্রাও শুরু হয়
বর্তমানটা লেপ্টে আছে ইটালিক ফন্টে
সরন্ধ্র রেখার ওপর জীবন—আড়াআড়ি, তির্যক।
৩
ও প্রাণ! বাজি কি ধরবে আবার?
এতসব বিপত্তির জঙ্গল!
বিস্তীর্ণ মাঠে এ খেলা শত শত বার
পরাজয়ের গল্পে আত্মা দখল।
বাতাসে ঘুরছে টসের কয়েন
মাটিতে পড়ার আগেই তোমার দৌড়, সর্বোপরি
কোন না কোন চেইনে তুমি আটকানো আবার
অবিশ্বাসের সমিতি মহা জাগ্রত, উদগ্রীব—অপেক্ষমাণ।
৪
মৃত্যু একটা ইন্ডাস্ট্রি
কারখানাটা পৃথিবীতে।
হৃদয় যতটা পারে ভালোবাসুক
মৃত্যুর পর হতে অনন্তকাল
ওদের আর ব্যবহার নেই।
বিলে পরিযায়ী পাখিদের ঝাঁক,
গুচ্ছ মৌমাছি,
সার বাঁধা পিঁপড়েদের
দেখে নাও।
আমি স্বর্গে বা আমি নরকে
ওখানে কেবল আমি, আমি!
নভেম্বর ৩০,-০০০১ বুঝিনি। এটা কি ২৯ শে নভেম্বর রাত ১২ টা ১ মিনিট?
Jalal uddin Ahmed
জুন ০১, ২০২২ ১০:০৪