মালয় সাগর বলিয়া কিছু নাই
১৯৯৩ সালে চট্টগ্রামে এক সন্ধ্যায় ‘বনলতা সেন’ কবিতাটির ইংরেজি ভাষায় অনুবাদে প্রবৃত্ত হইলাম। কেনো কবিতা অনুবাদের ক্ষেত্রে আগে দেখিয়া লই মূল কবিতায় কোনো দূরবগাহ শব্দ বা অংশ আছে কি-না। অসম্ভব বাক্যাংশ সম্বলিত কবিতা অনুবাদে উদ্যোগী না হওয়াই শ্রেয়। সুতরাং প্রথম কাজ হইল ‘বনলতা সেন’ কবিতায় অভিধান ও কাণ্ড-জ্ঞানের সাহায্যেও যথার্থ উপলব্ধ হয় না এই রূপ বাক্যাংশ অনুসন্ধান করা। ‘বনলতা সেন’ কবিতাটি প্রায় সকলেরই মুখস্থ, তথাপি প্রথম স্তবকটি উদ্ধরণ করিতেছি:
হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারি দিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
পরিদৃষ্ট হইল প্রথম স্তবকের ছয়টি পঙ্ক্তিতে জটিলতা তেমন নাই। কবিতার বাক্য আর গদ্যের বাক্য অনেক ক্ষেত্রেই সমান্তরাল। কবি শব্দ বিবর্জন করিয়া সংকোচন করিয়া থাকেন; ছন্দের স্বার্থেও বাক্যের গদ্যরূপ সম্পাদনাপূর্বক কবিতায় আশ্রয় দিতে হয়। এই রূপ সংকোচন ও সম্পাদনা অর্থ নির্মলতা হ্রাস করে। প্রথম অর্থে এই সমস্যার প্রকোপ নাই।
‘পৃথিবীর পথ’ বলিয়া কিছু নাই; তবে কিনা মানুষের অস্তিত্ব পর্যটকের ভ্রমণের মতো হইলে একখানা ‘পৃথিবীর পথ’ দরকার পড়ে বটে।
পৃথিবীর নানা স্থান পরিভ্রমণ করিয়া মানুষ ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছে। সে সিংহল সমুদ্র হইতে মালয় সাগরে গিয়াছে। সে গিয়াছে বিদর্ভ নগরে। বিম্বিসার ও অশোকের করায়ত্ত নানা জনপদে সে ভ্রমণ করিয়াছে। তবে প্রারম্ভে ‘পৃথিবীর পথ’ বলিলেও এই পর্যটক ভারতীয় চৌহদ্দির বাহিরে গিয়াছেন বলিয়া মনে হইল না। তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী নহেন, হালের মঈনুস সুলতান কি ফারুক মইনউদ্দীনও নহেন। মোহিকান কি মায়া সভ্যতার কোনো লুপ্ত নগরীর ধ্বংসাবশেষ দেখিবার আকাঙ্ক্ষা তাহার হয় নাই। তিনি অকপটে লিখিয়াছেন, ‘মৃত্যুর আগে কী দেখিতে চাই আর’। যাহা দরকার সবই তিনি কপালগুণে অর্জন করিয়াছেন। মনে হইল, এই পরিশ্রান্ত পথিক কোথাও দুই দণ্ড যাত্রা স্থগিত করিয়াছিলেন। সেই অবকাশে বনলতা সেনের সাক্ষাৎ লাভ করিয়া কিঞ্চিৎ শান্তি লাভ করিয়াছিলেন।
প্রথম স্তবকের সুরাহা করিতে সক্ষম হইব এই প্রত্যয়ে অতঃপর দ্বিতীয় স্তবকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিলাম। স্মৃতিধর পাঠক মনঃক্ষুণ্ন হইতে পারেন জানিয়াও উহা নিম্নে উদ্ধরণ করিতেছি:
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
এই স্তবক বনলতা সেনকে লইয়া। ‘বিদিশা’ ‘শ্রাবস্তী’ নামগুলিকে প্রথমে কোনো রূপসী নারীর নাম বলিয়া ভ্রম করিয়াছিলাম; সুবলচন্দ্র মহাশয় তাহার ঢাউস আকৃতির ‘সরল বাঙ্গালা অভিধানে’ জানাইতেছেন এইগুলি কোনও নারীর নাম নহে, বরং প্রাচীন নগরীর নাম। মালবরাজ্যেও একটি নগরী বিদিশা; ইহার বর্তমান নাম ভিলসা, কেউ কেউ গোয়ালিয়রও বলিয়া থাকেন [পৃ. ৯৫০]। শ্রাবস্তী হইতেছে গণ্ডা জেলার অন্তর্গত এক প্রাচীন নগরী যাহার আধুনিক নাম সাহেত মাহেত। ধারণা করা হয় সূর্যবংশীয় রাজা শ্রাবস্ত স্বীয় নামে নগরী প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন [পৃ. ১২৩৯]। বনলতাকে কবি অন্য কোনো নারীর সহিত তুলনা করেন নাই।
যাহা হউক, বনলতা সেনের চোখ কবির নিকট ‘পাখির নীড়ের মতো’ প্রতীয়মান হওয়াতেই যাহা কিছু সমস্যা। মূলের প্রতি অনুবাদকের বিশ্বস্ত রহিবার দায় রহিয়াছে, তথাপি মনঃস্থির করিলাম শেষাংশটি নিম্নরূপ অনুবাদ করা যাইতে পারে। পাখির বাসা বাদ পড়িবে যদিও, পরম সান্ত্বনা ও গভীর মমতার উৎস হইয়া বনলতা সেনের চক্ষুদ্বয় বিদ্যমান থাকিবে:
Where had you been lost all these days?
Yes, she demanded of me, Natore’s Banalata Sen
Raising her eyes of profound refuge.
এইবার তৃতীয় স্তবকের পালা। ইহাই ‘বনলতা সেন’ কবিতার শেষ স্তবক। তবে এইখানে আসিয়া হতোদ্যম হইয়া পড়িলাম। বিস্মরণশীল পাঠকের স্বার্থে তৃতীয় স্তবকটিও নিম্নে সম্পূর্ণ উদ্ধরণ করিতেছি:
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা কীভাবে আসে তাহা ঠাহর করিতে পারিলাম না। ডানার রৌদ্রের গন্ধ চিলপাখি কীরূপে মুছিয়া ফেলে তাহাও কল্পনা করিতে ব্যর্থ হইলাম। সন্ধ্যা ঘনাইল, পাখিরা নীড়ে ফিরিল, দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হইল—নদীও কি ঢেউ তোলা বন্ধ করিয়া দিল? যাহা হউক, অন্ধকারে বনলতা সেনের মুখোমুখি বসিতে সমস্যা হইল না। সন্ধ্যা আসিলে পৃথিবীর সকল রঙ নিভিয়া যায় পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু ‘পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন’? এক কুড়ি অভিধানের পায়ে মাথা কুটিয়াও ইহার কোনো অর্থ নিরূপণ করিতে পারিলাম না।
দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই বিষয়ে সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করিলেন। তিনি জানাইলেন, “জীবনানন্দ দাশ নিজেই একবার ‘বনলতা সেন’-এর অনুবাদ করিয়াছিলেন।”
দেবীপ্রসাদ বাবু অধিকন্তু অবহিত করিলেন, ‘একটি অনুবাদ গ্রন্থের জন্য জীবনানন্দ তাহার ৪-৫টি কবিতা অনুবাদ করিয়াছিলেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের দিকে।’
বলিলাম, ‘তবে তো অনুবাদ গ্রন্থটি সংগ্রহ করিতে হয়। গ্রন্থের নাম কী? প্রকাশক কে?’
দেবীবাবু বলিলেন, “গ্রন্থের নাম ‘Modern Bengali Poems’। প্রকাশক সিগনেট। কিন্তু জীবনানন্দের নিজের করা অনুবাদের পরিবর্তে মার্টিন কার্কম্যান [Martin Kirkman] কৃত অনুবাদটি সম্পাদক কর্তৃক গৃহীত হইয়াছিল। মার্টিন সাহেব চারিটি কবিতার অনুবাদ করিয়াছিলেন: ‘বনলতা সেন’, ‘হায় চিল’, ‘আমি যদি হতাম’ ও ‘মনোবীজ’।”
কেবল মার্টিন সাহেবের অনুবাদ নহে, জীবনানন্দের স্বকৃত অনুবাদের হদিশও দেবীবাবুর নিকট হইতে মিলিল। দুই-দুইটি অনুবাদের সহায়তা পাওয়া যাইবে ভাবিয়া আশ্বস্ত বোধ করিলাম। জীবনানন্দ দাশই সর্বপ্রথম ‘বনলতা সেন’-এর অনুবাদ করিয়াছেন—অতএব উহাই সর্বাগ্রে পাঠ্য। তিনি ‘সমস্ত দিনের শেষে’ স্তবকটির নিম্নরূপ অনুবাদ করিয়াছেন:
When day is done, no fall somewhere but of dews
Dips into the dusk; the smell of the sun is gone
Off the kestrel’s wings. Light is your wit now,
Fanning fireflies that pitch the wide things around,
I am ready with my stock of Tales,
For Banalata Sen of Natore.
এই অনুবাদ পাঠ করিয়া সমস্যার সুরাহা হইবে কী—আমি স্তম্ভিত হইয়া গেলাম। ‘সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন / সন্ধ্যা আসে’: জীবনানন্দ ইহার অনুবাদ করিয়াছেন: When day is done, no fall somewhere but of dews dips into the dusk.
‘ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল’ জীবনানন্দ কৃত অনুবাদ: The smell of the sun is gone off the kestrel’s wings.
কবিতার তৃতীয়-চতুর্থ পঙ্ক্তি: ‘পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন/ তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল’- জীবনানন্দ অনুবাদ করিলেন: Light is your wit now,/ Fanning fireflies that pitch the wide things around.
‘সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন; / থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।’ জীবনানন্দ লিখিয়াছেন: I am ready with my stock of Tales / For Banalata Sen of Natore.
কবি স্বয়ং অনুবাদ করিয়াছেন সুতরাং আমার আক্ষেপের কোনো কারণ থাকিতে পারে না। বাঙ্গালা ভাষায় তিনি যাহা লিখিয়াছেন তাহার গূঢ়ার্থ তাহার জানিবারই কথা।
মার্টিন কার্কম্যান সাহেব এই অনুবাদ দেখিয়াছিলেন মনে হয় না। তাই তাহার ভাষ্যে গল্পের কথক বদলাইয়া গিয়াছে: গল্প কহিবার ভার জোনাক পোকার ঘাড়ে চাপাইয়া দিয়া তিনি নিঃসঙ্কোচে লিখিয়াছেন: And when earth’s colours fade the fireflies weave a tapestry of brilliant stories.
যাহা বুঝিবার তাহা বুঝা হইল। আমি বিশ্বস্ততার পরিচয় প্রকাশে উন্মুখ হইয়া লিখিলাম: The manuscript is ready / With tales to be told. বাংলা ‘পাণ্ডুলিপি’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ manuscript। ইহা ‘ঠাকুমার ঝুলি’ দিয়া প্রতিস্থাপন করা আমার দ্বারা সম্ভবপর হইল না।
খ
‘বনলতা সেন’ অনুবাদের ইতিবৃত্ত এইখানে শেষ হইল না। পশ্চাৎপটে কী ঘটিয়াছিল তাহা বলিতে পারিব না, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লিনটন বুথ সিলি শুদ্ধ ‘সিনট্যাক্স’ মান্য করিয়া বলিলেন, ‘মশাই, গুগল ঘাঁটিয়া দেখুন— মালয় সাগর বলিয়া ঈশ্বরের পৃথিবীতে কিছু নাই।’
অন্তর্জাল ঘাঁটাঘাঁটির বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী আমার সহকর্মী নূর এলাহী। তাহাকে নবোত্থিত সমস্যাটি খুলিয়া বলিলাম। সে অবিলম্বে তৎপর হইল। ইত্যবসরে আমার প্রকাশিতব্য গ্রন্থ Beyond Land and Time-এর পাণ্ডুলিপি খুলিয়া বিভিন্ন অনুবাদক মালয় সাগরের অনুবাদ কী করিয়াছেন তাহা দেখিতে লাগিলাম। উহার সারমর্ম নিম্নরূপ:
১. জীবনানন্দ দাশ: The Sea of Malay [পৃ. ১৬৫]
২. মার্টিন কার্কম্যান: Sea of Malay [পৃ. ১৬৬]
৩. অমিতাভ মুখার্জি: Sea of Malay [পৃ. ১৬৭]
৪. ক্লিনটন বি সিলি: Malayan Sea [পৃ. ১৬৮]
৫. সুকান্ত চৌধুরী: The Malay Sea [পৃ. ১৬৯]
৬. আনন্দ লাল: The Malay Sea [পৃ. ১৭০]
৭. অনুপম ব্যানার্জি: The Ocean of Malay [পৃ. ১৭১]
৮. ফখরুল আলম: From Sinhala’s Sea to Malaya’s [পৃ. ১৭২]
৯. অঞ্জনা বসু: From Ceylon’s Sea to Malaysia [পৃ. ১৭৩]
১০. জো উইন্টার: The Ocean of Malay [পৃ. ১৭৪]
১১. ফয়জুল লতিফ চৌধুরী: The Malayan Sea [পৃ. ১৭৫]
নূর এলাহীর বৈশিষ্ট্য হইল সমস্যা হইলেও সে মৃদু হাসিয়া কথা বলে, সমাধান হইলেও তদ্রূপ হাসিয়াই কথা বলে। মিনিট দশেক পরে প্রাচীন ও আধুনিক মানচিত্র মুদ্রণ প্রত্যাবর্তন করিল ও পূর্ববৎ মুখে হাসি ফুটাইয়া দেখাইল মালয় দ্বীপের আশেপাশে দক্ষিণ চীন সাগর এবং থাই উপসাগর রহিয়াছে কিন্তু ‘মালয় সাগর’ বলিয়া কোনো জলাশয়ের উপস্থিতি নাই। তাহার কথায় আশ্বস্ত না হইয়া স্বয়ং মানচিত্র পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইলাম যে কথা সত্য, পৃথিবীতে নানা নামে নানা বর্গের নানা জলরাশি থাকিলেও মালয় সাগর বলিয়া কিছু নাই।
গ
সিলি মহাশয়ের বক্তব্য হইল এই কবিতা একান্তই ভারত উপমহাদেশকেন্দ্রিক। এইখানে জীবনানন্দের অভিমুখ সর্বতোভাবে ভারতবর্তী। ইহাতে মালয়েশিয়া বা মালয় দ্বীপপুঞ্জের সামীপ্য থাকিতে পারে না। চিন্তা-ভাবনা করিয়া তিনি সাব্যস্ত করিয়াছেন, মালয় সাগর দ্বারা কবি মালাবার উপকূল বুঝাইয়াছেন। অতএব তিনি সাব্যস্ত করিয়াছেন জীবনানন্দের সমুদ্রযাত্রার ব্যাপ্তিস্বরূপ ‘From waters round Sri Lanka, in dead of night, to seas up the Malabar Coast’ অনুবাদ করাই সমীচীন হইবে। পাঠক হয়তো জানিবেন মালাবার উপকূল দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের কেরালা ও কর্ণাটক জুড়িয়া ব্যাপ্ত; ইহার পূর্বে আরব সাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। ইতিহাসের কালিকট বন্দরের অবস্থান এই উপকূলেই। গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২১ মেলবোর্নের বাংলা সাহিত্য সংসদ আয়োজিত আন্তর্জালভিত্তিক এক সভায় মৃদু হাস্যসহযোগে শ্রোতাদের উদ্দেশে তাহার বক্তব্য তিনি পুনরুক্ত করিয়াছেন। মালয় সাগরকে মালাবার উপকূল ভাবিতে তাহার দ্বিধা নাই।
ঘ
পাদটীকা হিসেবে উল্লেখ করিতে চাহি যে লিওনার্ড আন্দায়া তাহার খ্রিস্টাব্দ ২০১০-এ প্রকাশিত ‘আ হিস্ট্রি অব ট্রেড ইন দ্য সি অব মেলায়ু’ নিবন্ধে জানাইতেছেন যে খ্রিস্টাব্দ ১০০০ সালের একটি আরবীয় দলিলে সর্বপ্রথম Sea of Melayu-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সমুদ্রাভিসারী নাবিকগণের অভ্যাস ছিল উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর নামে সাগরের নামকরণ করা। সেই সূত্রেই এই নামকরণ। বিশেষ করিয়া সুমাত্রা ও মালয় উপদ্বীপের অন্তর্বর্তী জলরাশি Sea of Melayu বলিয়া অভিহিত ছিল। Melayu বলিতে মালয় জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হইত। Melayu শব্দেরই আধুনিক বানান Malay।
সাহিত্যের ছাত্র না হয়েও লিখাটি দারুন উপভোগ করলাম স্যার!
মো: আবদুর রহমান খান
অক্টোবর ০২, ২০২১ ১১:০০
সাধু রীতিতে পড়ছি বলেই কিনা জানি না,পাঠ শেষে " সাধু! সাধু!" বলতে ইচ্ছে হলো।???? শুধু মালয় সাগর নিয়েই বিতর্ক? বনলতার আর সবকিছুতে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু? ধন্যবাদ লেখক এবং তর্ক বাংলাকে।
শাহনাজ পারভীন
নভেম্বর ১৯, ২০২১ ০৯:২৬
দারুণ! তবে ভাষা কেন সাধু তাহা বুঝিলাম না।
অনুপম হাসান
অক্টোবর ০১, ২০২১ ১৮:৫৬