দৃশ্য ও অন্যান্য কবিতা
দৃশ্য—১
করতলে পাখি নেচে ওঠে
প্রতি মুদ্রায় আঁকা হয় গোপন ভিশন
পাখি অধরা থেকে যায়
সে চলে যায়
আমি তাঁর অস্তিত্ব দেখে ফেলি
দৃশ্য—২
দৃশ্য ফেলে আসা যায়, দৃষ্টিকে না
দৃষ্টি ফেরানো যায়, দৃশ্যকে না
দৃশ্য—৩
উঠোনে আমার উঠোন আঁকা
বাড়ির ভেতর বাড়িটি বেশ
চোখে আঁকা তোমার দু’টি চোখ
তোমায় দেখেই আমার দেখার শেষ!
টোকাই
তোমার জন্য হিংসা কুড়ালাম।
যদি বলো—ভালোবাসা কেনো নয়?
অস্থির এ সময়—
হিংসাগুলো কুড়িয়ে নিলে
তোমার জন্য শুধু ভালোবাসাই রয়!
শব্দার্থগুচ্ছ
অচেনা
=
হয়তো চিনতে না চাওয়া;
অভিমান
=
এমনই চৈতি হাওয়া!
দুঃখ
=
আদিম স্থাপনা—
মানুষ চিরকাল ইট গেঁথেই চলেছে।
সুখ
=
আধারে আঁধার ঢালো চোখে মাখো চোখ
চিতার আগুনেই দেখো আছে সব সুখ।
চোখ
=
১.
ক্ষুধার্ত মানুষের চোখ সুন্দর দেখায়।
২.
চোখ—কখনও কি চোখ থেকে সরে
পা’য়ের থেকে নখের থেকে শেখো
নিজেকে কুড়িয়ে নিজের ভেতরই রেখো।
চিন্তা-ভাবনা
=
ভাবনা আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল
চিন্তা আমায় টেনে আনলো ধ্যানে;
কোনকিছু না ভেবেই আপনাকে করেছিলাম ফোন
ভাবনা আমার মেয়েটির নাম, চিন্তা আমার বোন।
অবসর
=
অবসর না-কি অবকাশ?
আমার তো ব্যস্ততাই প্রিয়—
কর্মস্থলই মুক্ত আকাশ!
জাম কিংবা জ্যাম
=
জাম, যতোটা না জাম—ততোটাই কালো
জ্যামও ঠিক তাই, হাঁটো—হন্টনই ভালো।