জীবনের সৌন্দর্য ও অন্যান্য কবিতা
যে মুহূর্তে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরি
যে মুহূর্তে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরি
আমি আমাকে হারিয়ে ফেলি
আর খুঁজে পাই তোমাকে।
যে মুহূর্তে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরি
আমি খুঁজে পাই আমাকে
আর হারিয়ে ফেলি তোমাকে।
যে মুহূর্তে তোমাকে জড়িয়ে ধরি
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে
হারিয়ে ফেলি তোমাকেও।
তবু আমি সব কিছু ফিরে পাই।
ছায়া
ছায়াটি আমারই
আমার পা থেকে শুরু করে
সূর্যাবধি তার বিস্তার।
হাত ধরে আছে আমার মতো,
আমারি মতো করে এগিয়ে চলে পা
যেখানেই যাই আমি
পেছন থেকে সন্মুখে
আমার সাথে সাথে হাঁটে ছায়া।
আমি আমার ছায়ার দিকে জ্বলজ্বলে চোখে তাকাই
যদিও ছায়ার গোল মাথাটি আমারই মতো
আমার মতো ছায়ার মুখ নেই
আমার মতো নেই কোন রঙ
এমনকি আমার মতো নেই কোন সুগন্ধ তার।
যদিও এটি আমারই ছায়া
তবু আমি তো ছায়া নই।
কৃতজ্ঞতা
এই চোখ দুটো
দেখে পৃথিবীর সব সৌন্দর্য
উপভোগ করে তাদের রঙ, রূপ।
এই কান দুটো
মন্ত্র শোনে যেন স্বর্গীয বাণী
যেখান থেকে এই শব্দগুলো ভেসে আসে মানুষের হৃদয়ে
শব্দের ঢেউ স্পর্শ করে যায়।
এই পা
হাঁটে ক্লান্তিবিহীন, ওঠানামা করে
মন্দিরে, স্কুলে, কাজে যায়
তোমার কাছেও পৌঁছায়।
এই জিভ
স্বাদ নেয় কত কিছুর
প্রশংসাও করে।
বিস্ময়
এই হাত দুটো
পরিষ্কার করে ময়লা, কাজ করে,
সুর দেয়,
কবিতা লেখে এবং ছবিও আঁকে
যা ভালবাসি সবচেয়ে বেশি।
আমি ধ্যান করছি
যা আমি আমাতেই প্রয়োগ করি
কিংবা আত্ম উৎসর্গ করি।
স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ আমি
যা কিছু সে দিয়েছে আমাকে
এইসব অমূল্য উপহার
কোন মূল্য ছাড়া।
জীবনের সৌন্দর্য
চাচা, আমাদের একটা ছবি নাও,
ছেলেমেয়েগুলোর মুখ আশা জাগানিয়া ফুলের মতো
কথা বলছিল তারা, তাদের কণ্ঠস্বরে এক উজ্জ্বল আশা
আমি তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ছবি তুললাম।
একবার তাকালাম তাদের ছবির দিকে
আবার তাদের মুখের দিকে।
কিন্তু ছবিতে যা অনুপস্থিত
তা ছিল তাদের নিস্প্রভ চোখ
তাদের মুখে ছিল না কোন হাসি
এবং তাতে ছিল না কোন রং।
সেখানে ছিল না তাদের হৃদয়ের স্বর
বিশুদ্ধতা কিংবা উষ্ণতা।
সেই ছবিতে ছিল কিছু ফিগার
যা ফটো বলা যায় না
আমি তাদের ছবি তুলেছিলাম
তবে আঁকতে পারিনি
তাদের অনুপ্রেরণাদায়ী জীবনের সৌন্দর্যকে,
হয়তো কেউ পারবে না।
অনুবাদ: আয়শা ঝর্না
প্রথম কবিতাটা খুব ভালো লাগলো। আমি এরকম অনুভূতি নিয়ে একটা লিখতে চেষ্টা করেছিলাম। ঠিক দাঁড় করাতে পারিনি। এ যেন আমার অনুভূতিরই প্রকাশ!
রুপম
মে ১২, ২০২১ ১৬:১৬