শরীরবিহীন এক নতুন দুনিয়া এখন
সতিরিয়স পাস্তাকাস [Σωτήρης Παστάκας]
কবি, অনুবাদক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। জন্ম ১৯৫৪ সালে, গ্রিসের লারিসায়। বর্তমান বসবাসও জন্মঠিকানায়। পড়াশোনা করেছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে, ইউনিভার্সিটি অব রোমে। ৩০ বছর ধরে এথেন্সে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। সমকালীন গ্রিক কবিতায় প্রভাবশালী কবি তিনি। ২০০১ সালে ইতালির ভেরোনায় প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড পোয়েট্রি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। ১৬টি কাব্য সংকলন প্রকাশ করেছেন। ১৬ ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘ফুড লাইন’ অনুবাদ করেছেন আমেরিকান বিট কবি জ্যাক হার্শম্যান। অংশ নিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো, সারাজেভো, ইজমির, রোম, নাপোলি, সিয়েনা, কায়রো, ইস্তাম্বুলসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে। সতিরিয়সের তিনটি কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ইতালিতে, যেখানে তিনি ২০১৬ সালে নর্ড সুড পুরস্কারও পান। পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা ও পুরস্কার পান। রেডিও প্রযোজক ও নিরীক্ষামূলক লেখালেখির অধ্যাপক তিনি। সম্প্রতি তাঁর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কবি ও প্রাবন্ধিক সাখাওয়াত টিপু। এটি ভাষান্তর করেছেন কবি ও অনুবাদক উপল বড়ুয়া।
সতিরিয়স পাস্তাকাস © দিনো ইগনানি
সাখাওয়াত টিপু: প্রিয় সতিরিয়স পাস্তাকাস, অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশ্বে মহামারির ভয়াবহ সংকট চলছে। মানব অস্তিত্বের এই সংকট কি নতুন কিছু ভাবতে বাধ্য করছে আপনাকে? ভাবলে তা কেমন?
সতিরিয়স পাস্তাকাস: প্রিয় কবি, এই বর্তমান সংকট মানুষের শারীরিক উপস্থিতি আর মানবদেহ বিলুপ্ত করতে বসেছে। টেলিওয়ার্কিং [বাড়িতে বসে অফিসের কাজ], বিশেষত সাইবারসেক্সের পরে ইতিমধ্যে এসবে আমরা আসক্তও হয়ে পড়েছি। শরীরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ হলো একুশ শতকে অ-শরীরে প্রবেশের প্রস্তুতি। শরীরবিহীন এক নতুন দুনিয়া এখন। আমি নিয়ত কাব্যিকভাবে ভাবছি এবং দুশো বছর আগে ওয়াল্ট হুইটম্যান দৈব বাণীর মতো বলেছেন—‘দেহ ছাড়া আত্মা কি থাকতে পারে?’ আমিও এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি।
টিপু: আপনি প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কবি। মনোবিশ্লেষণের দৃষ্টিতে, কীভাবে কবিতাকে বিচার করেন? ভাষার মধ্যে কবিতা সহজ একটা গীতিধর্মের বিষয়। অন্যান্য উপাদান কীভাবে কবির অন্তর্গত মজ্জায় থাকে?
পাস্তাকাস: ভাষায় গীতিধর্মিতার বিষয়টি ব্যবহৃত হয়—নিজেই নিজেকে কাব্যে প্রকাশ করতে, জগতের কাছে নিজের ইশতেহার হিসেবে মেলে ধরতে। কবির দেহ আর মন ভাষার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে; কারণ, এটা পবিত্র পাগলামি। কেবল এই পবিত্র উন্মত্ততা স্বতঃস্ফূর্ত হলেই কবি জনতার ভাষার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে ভাষায় লিখিত হোক না কেন, তার এই কবিতাকে আমাদের সকলের সম্পত্তি করে তোলার জন্য লাগে এক ডোজ পাগলামি।
টিপু: কবিতা লিখতে আপনাকে কে প্ররোচিত করেছিলেন? শুরুতে তো, কারও না কারও কবিতা প্ররোচিত করেছে আপনাকে? যদি তাই হয়, তবে আপনি সেই কবিতাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন কিংবা নান্দনিকভাবে বিচার করবেন?
পাস্তাকাস: আমাকে কেউ কবিতা লিখতে প্রণোদিত করেনি। সম্ভবত প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় গ্রেডে পড়ার সময় আমি শিক্ষকের ওপর আমার ধারণা আরোপ করেছিলাম। কারণ, আমি ছিলাম অলস এবং পাঠ্যবই শেষ করার পরিবর্তে নিজের কথা লিখতে পছন্দ করতাম। ওইটাই আমার জন্য সহজ ছিল। যাহোক, আমি যা-ই লিখতাম, তার মনোযোগ ও অনুমোদন পেতাম। আমার ভিত তৈরি হয় কাভাফি [গ্রিক কবি কনস্তান্তিন পি. কাভাফি] বই পড়ে, যা আমার বোন এথেন্স থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। নান্দনিকভাবে, কবি হিসেবে আমি নিজেকে গভীরভাবে অনুভব করি ‘কাভাফির মতো’। এবং আমার মন্তব্য হচ্ছে—কবিকে কেবল ব্যর্থ হওয়া নয়—সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েও উঠতে হয়।
টিপু: আপনার মূল ভাষা গ্রিক। ইতালিয়ান ভাষাতেও আপনার সমান জ্ঞান। কাব্য চর্চার ক্ষেত্রে এই দুই ভাষার বিশেষত্ব কী? দুই ভাষার মধ্যে বৈপরীত্য কী? পুনর্মিলনের ফর্মুলাটা কোথায়?
পাস্তাকাস: পুরাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত গ্রিক ভাষার সমৃদ্ধ স্তরবিন্যাস রয়েছে। এবং একজন কবি হলো হাজার বছরের পুরোনো বাজার ঘুরে এসে তার গ্রন্থাদি বেছে নেওয়ার মতো। এটা ইতালিয়ানের মতো নয়, যা তার লাতিন শিকড় ভুলে গেছে। এই মিলগুলো রয়েছে সাধারণ গীতিধর্মী অভিজ্ঞতার মধ্যে, যা উভয়কে নির্দেশিত করে। তবে ভূমধ্যসাগরীয় মহাবিশ্বেও তা সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক, ঘ্রাণের, নগ্ন বর্ণ এবং গনগনে সূর্যের নিচে বৈশিষ্ট্যহীন। তারা একত্রে মিশে যায় ভূমধ্যসাগরে—মেরে নস্ত্রাম, আমাদের সাগরেও।
ভাষায় গীতিধর্মিতার বিষয়টি ব্যবহৃত হয়—নিজেই নিজেকে কাব্যে প্রকাশ করতে, জগতের কাছে নিজের ইশতেহার হিসেবে মেলে ধরতে। কবির দেহ আর মন ভাষার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে; কারণ, এটা পবিত্র পাগলামি। কেবল এই পবিত্র উন্মত্ততা স্বতঃস্ফূর্ত হলেই কবি জনতার ভাষার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে ভাষায় লিখিত হোক না কেন, তার এই কবিতাকে আমাদের সকলের সম্পত্তি করে তোলার জন্য লাগে এক ডোজ পাগলামি...
মার্কিন কবি জ্যাক হার্সম্যান ও সতিরিয়স পাস্তাকাস, তারান্তো ইতালি : ২০১৯
টিপু: আপনার কবিতা প্রধানত মুহূর্তকে ধরার প্রতীকী রূপ, যা মুহূর্তের থেকে ঐতিহাসিক সত্যের এক সম্পর্ক সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে আপনার কবিতা চারপাশের অন্যান্য বস্তুর অভ্যন্তরীণ রূপের সঙ্গে সংযুক্ত। এটা কবিতার অত্যন্ত সুন্দর ফর্মুলা। তবে আপনি কখনো ভেবেছেন, ভাষার ক্ষেত্রে কোথাও আপনি অভাববোধ করেন কি না, যা আপনি প্রকাশ করতে পারেননি? কীভাবে একজন কবি তাঁর ভাষাকে অতিক্রম করেন?
পাস্তাকাস: প্রিয় কবি, আমার কবিতা নিয়ে তোমার মতামত বিশেষ প্রশংসার সঙ্গে নিলাম। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। এটা সত্য যে, আমি তোমার ধারণা দেখে অবাক হয়েছি। হ্যাঁ, আমি এটা নিয়ে ভেবেছি এবং প্রায় এটা নিয়ে ভাবি। আমি বলতে পারি—যখন গ্রিসের বাইরে উৎসবে এবং জনসমক্ষে কবিতা পাঠ করি, তখন অনুভব করি, দর্শকরা শর্তহীন মনোযোগের সঙ্গে সেই পরিবেশনা উপভোগ করছে। আমি আমার কথা ভাগাভাগি করি এবং খুবই আলোড়িত হই। তখন আমি তাদের ভালোবাসার উচ্ছ্বসিত জ্বলজ্বলে চোখ দেখি। সুতরাং, আমি মনে করি, জাতীয় ভাষার সীমাবদ্ধতার বাইরে যা হয়, তা হলো রূপকের ব্যবহার। রূপকীয় ভাষার ব্যবহার আমাদের কাব্যকলাকে সর্বজনীন করে তোলে।
টিপু: আপনার কবিতায় রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। কখনো কখনো মনে হয় তা মার্কসীয় দর্শন, কখনো তা পরম স্বাধীন, আবার কখনো কখনো এটি বাস্তবের সঙ্গে বস্তুর সম্পর্ক সৃষ্টি করে। কীভাবে আপনি কবিতার সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শবাদের সম্পর্ককে বিচার করেন?
পাস্তাকাস: আমার মনের গড়ন তৈরি হয়েছে ইতালিতে। ১৯৭২ সালে, যখন আমার বয়স আঠারোও হয়নি। চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে গিয়েছিলাম সেখানে। ৬৮ সালের মের পরে আমি বেড়ে ওঠার হিসাব মিলিয়ে দেখলাম। আমরা তখনো ভাবতাম, যৌনতা থেকে আমাদের দৈনন্দিন সামাজিকতার সবকিছু রাজনৈতিক। পাড়ার জীবন, আমাদের দৈনন্দিন জীবন ছিল রাজনৈতিক। আমাদের সকল গোপনীয়তাও ছিল রাজনৈতিক। এই বোধে—শহুরে মায়ার অর্থে—এমনকি গীতিধর্মিতার আলোকেও কবিতা রাজনৈতিক। আমি সার্বিকভাবে তোমাকে নিশ্চিত করতে পারি, আজকের দিনেও মূল্যবান লেখা হলো রাজনৈতিক কবিতা।
টিপু: নিজের কবিতা নিয়ে আপনার কি কোনো স্মৃতি আছে, যা আপনাকে খুব আনন্দ দিয়েছে বা এমন কোনো কিছু, যা আপনাকে বিষণ্ণ করেছে? ফ্রয়েডীয় তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে কবিতার ব্যাখ্যা কী?
পাস্তাকাস: এমন কবিতা রয়েছে—যা আমি স্বর্গীয় আশীর্বাদের উচ্ছ্বাসে লিখেছি। আর তাতে সেই আবেগ এখনো রয়েছে। ওসব আমাদের দেওয়া হয়েছে। যখন হাত অবিরাম লিখে যায়, যেন মনে হয় কেউ একজন তোমার কানের কাছে ফিসফিস করছে। যেন অন্যরা তোমাকে শেখায়, তুমি কঠিন অবস্থার মধ্যে সেটা লিখছ—যতক্ষণ না ছোট একটি ভুল করো। যে একটি অভাবিত শব্দ এটাকে শ্বাস দেয়, সেই কবিতা সবার আগে তোমাকে বিস্মিত করে। আমি জানি না, কোন দুটি প্রক্রিয়া আমাকে কবিতা লেখার দিকে ঠেলে দিয়েছে। হয়তো জানো, ফ্রয়েডিয়ান দৃষ্টিকোণ, তবু—নান্দনিকতার সঙ্গে স্নায়বিক ক্রিয়ার মিল রয়েছে। কেননা কবি আর বাতিকরোগী উভয়ের কর্ম প্রতীকী ক্রিয়ার। যার কারণে আমি নিজে সাইকোথেরাপি নিই না। কারণ, আমি যদি নিজের স্নায়ু নিরাময় করি, তাহলে কবিতার উপাদান কোথায় পাবো? [হা হা হা]
টিপু: সারা বিশ্বের কবিতার জগৎকে বেশ প্রভাবিত করেছে আরিস্তোতলের ‘কাব্যতত্ত্ব’। তবে এত দীর্ঘ সময় গড়ানোর পরে—ধ্রুপদি গ্রিক কবিতা ও আধুনিক গ্রিক কবিতার মধ্যে ফারাককে আপনি কীভাবে দেখেন? অথবা এই ঐতিহ্যের প্রধান ইস্যুগুলো কী বলে মনে হয়? আপনার মতে, গ্রিক কবিতার রূপরেখা কী?
পাস্তাকাস:, মজার বিষয়—প্রিয় সাখাওয়াত, শত বছর ধরে গ্রিক কবিতা ইংরেজি ও ফরাসি কবিতা অনুসরণ করেছে। এই শতাব্দীর শুরুতে সেফোরিস নিলেন এলিয়ট থেকে, এলিতিস [দুটি নোবেল পুরস্কার নিয়ে আমাদের কথোপকথন সীমিত করার জন্য] নিয়েছেন ফরাসি পরাবাস্তবাদীদের থেকে। অতি আধুনিকেরা অনুকরণ করেন বিট কবিদের। আর যা অ্যাংলো-স্যাক্সন প্রকল্পগুলোর সঙ্গে মিশে যায়। এই শব্দ শুনলে আমার হাসির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আমাদের ঐতিহ্য, এখনো আমাদের ভাষা বিজয়ের অনতিক্রম্য এক বিন্দু প্যালাতিন অ্যান্থোলজির [পুরোনো গ্রিক কাব্যসংকলন] কবিতা। এখনকার গ্রিক কবিতার রূপরেখা হলো—এক চিলতে খোলা আকাশের আলোর নিচে বস্তু ও শরীরের প্রদর্শনী, যা কোনো কিছুর মেটাফিজিক্যাল বা অধিবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গিকে বাদ দেয় না।
টিপু: স্বপ্নহীন জগৎ কেমন হতে পারে? আপনার কি কোনো স্বপ্ন আছে? কীভাবে আপনি আপনার স্বপ্নের মধ্যে জগৎকে দেখেন? ভবিষ্যতের কবিদের আপনি কী বলতে চান?
পাস্তাকাস: সংবেদনশীল বিচ্ছিন্নতার পৃথিবীকে ভয় পাই আমি। যখন আমাদের ইন্দ্রিয় দুর্বল হয়ে যাবে, তখন আমাদের জগৎ স্বপ্নের বাইরে চলে যাবে। কৈশোরে যেমন ছিল, এখনো আমার স্বপ্ন তেমনই আছে। আমি এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে সম্পত্তির মর্যাদা থাকবে না। সীমান্ত ছাড়াই পণ্য ও জ্ঞানের বিনিময় হবে। কবিদের প্রতি, আমার ভাবাদর্শ জ্যাক হার্শম্যানের [আমেরিকান বিট কবি ও বিপ্লবী সমাজকর্মী] কথার পুনরাবৃত্তি করা যাক—প্রথমবার হৃদয় ভাঙার পরে তাদের যা ইচ্ছে হয়, তারা তা-ই লিখুক। অপর কথায়, যতই অসুখী হও, তাদের হৃদয়কে নগ্ন করে দাও কাগজের ওপরে।
সম্পাদকীয় নোট
সমকালীন গ্রিক প্রভাবশালী কবি সতিরিয়াস পাস্তাকাসের সাক্ষাৎকারের জন্য প্রশ্ন পাঠানো হয় ডিসেম্বর ২০২০ সালে। জানুয়ারিতে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি গ্রিক ও ইতালিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। প্রকাশিত হয় ইতালিয়ান ম্যাগাজিন লা’আত্রোভে ও গ্রিক কালচার বুক পত্রিকায়। সাক্ষাৎকারে ব্যবহৃত ছবি দুটো তুলেছেন ইতালির নামজাদা পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফার দিনো ইগনানি। তর্ক বাংলা সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
খুবই ঋদ্ধ আলোচনা। ভালো লাগলো ভীষণ।
Anjuman Rosy
জুন ০৮, ২০২১ ০৮:৪৪
ভালো লাগলো পাস্তাকাসের সাক্ষাৎকার,❤️
বাদল ধারা
জুলাই ২৫, ২০২১ ১২:২৭
মনোযোগ দিয়ে কবি সতিরিসের কথাগুলো পড়লাম। জাত কবি। ধন্যবাদ প্রাপ্য কবি সাখাওয়াত টিপু ও কবি উপল বড়ুয়ার।
খলিল মজিদ
জুন ০১, ২০২১ ০৯:৫৪