বাংলা অনুবাদের দৃশ্যপট
প্রথম কথা, চুলচেরা বিচারে, অনুবাদ অসম্ভব। ধ্বনিতাত্ত্বিকেরা বলে থাকেন, আমরা মুখ থেকে যে-ধ্বনি নির্গত করি তার প্রতিটি-ই অনন্য। এক নদীতে যেমন দুবার গোসল করা যায় না, একইভাবে ঠিক একই রকমের ধ্বনি কোনো ব্যক্তি, চুলচেরা বিচারে, দুবার উচ্চারণ করতে পারেন না, কিছু না কিছু ফারাক রয়েই যায়। সাহিত্যের নানান ‘জনরার’ অনুবাদ, বিশেষ করে কবিতার অনুবাদও, সেই অর্থে অসম্ভব। এমন কি তথাকথিত কঠোর মূলানুগ অনুবাদেও অনেক কিছু হারায়। ঠিক কতটুকু হারায় তার কোনো পরিমাপক নেই। তাই বলা যায়, অনুবাদ মানে আপস। আবার, স্বাধীনতা নেয়া বা কম নেয়া বা বেশি নেয়া, এ-বিষয়েও কোনো সর্বজনসম্মত ঐকমত্য যেমন কোনোকালে গড়ে ওঠেনি, তেমনি অনুবাদ পদ্ধতি সম্পর্কিত মত বা ধ্যান-ধারণাও স্থান-কালভেদে বদলেছে। মধ্যযুগে মৌলিকতার ধারণাটিই অলীক ছিল। তখন অনুবাদ বলতে অ্যাডাপ্টেশনই বোঝাতো মূলত। অনুবাদকেরা এমন অনেক কিছু তাঁদের অনুবাদে ঢোকাতেন যা মূলে ছিল না। এক্ষেত্রে দ্বাদশ শতকের ফরাসি কবি ক্রিচিয়ান দি ত্রোয়ার কথা বলা যেতে পারে, যিনি ওভিদের মেটামরফসিস অনুবাদে এমন সব পরিবর্তন করেছেন যাতে করে, তাঁর বিবেচনায়, অনুবাদটি আরো মজার ও উপভোগ্য হয়। এ-প্রসঙ্গে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকের স্টুয়ার্ট মেরিলের ও এজরা পাউন্ডের কথাও বলা যায়। আর এ ধরনের অনুবাদের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য উদাহরণটি বোধ হয় ২০১৬ সালে ম্যান বুকার প্রাপ্ত উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ান-এর ডেবোরাহ স্মিথের অনুবাদটি, যা মূল কাজটির সঙ্গে পুরস্কৃত হয়েছে, এবং অনুবাদক পুরস্কারের মোট অর্থমূল্যের অর্ধেক লাভ করেছেন। কেতকী কুশারী ডাইসন কথিত ‘অনুবাদ মৌলবাদী’রা খুবই হতাশ হয়েছেন এই অনুবাদটি দেখে; বিশেষ করে এটিকে এমনভাবে সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত হতে দেখে। তার কারণ এই অনুবাদে এমন অনেক কিছুই আছে, ছত্রে ছত্রে, যা মূল বইটিতে নেই। এ-যেন সেই মধ্যযুগীয় অ্যাডাপ্টেশন ধরনের অনুবাদের প্রত্যাবর্তন। কাজেই, আমি মনে করি, প্রথমত, একজন অনুবাদক কীভাবে অনুবাদ করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার; এ-বিষয়ে কোনো ধরনের খবরদারি বা নজরদারি চালানো মুশকিল।
একটি বিশেষ যুগের পাঠক সমালোচক অনেকভাবেই সেটি নিতে পারেন; কিন্তু শেষকথা বলার কেউ নেই। একই কাজ আজ সমাদৃত না হলেও বা হলেও কাল যে সেটি তা হবে না বা হবে তা বলা মুশকিল। নাবোকভ যে বলেছিলেন, ‘The clumsiest literal translation is thousand times more useful than the prettiest paraphrase’, এমন ফতোয়া যেমন অনুবাদকের প্রাতিস্বিক বিবেচনায় খারিজ হয়ে যেতে পারে, তেমনি পারে মধ্যযুগীয় অ্যাডাপ্টেশন ধরনের অনুবাদের ধারণাও। তিনি বেছে নিতে পারেন মধ্যবর্তী কোনো পন্থা। তবে একটি কথা এখানে উল্লেখযোগ্য, আর তা হলো, প্রত্যেক কালেরই বিশেষ যুগধর্ম থাকে যা সেই কালের আর্থ-সামাজিক-রাজনীতি ইত্যাদির দ্বারা প্রবলভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সাহিত্য, অনুবাদ-ও এই নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। কাজেই অনুবাদকের প্রাতিস্বিক বিবেচনাও যে এসব উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত হবে না তা বলা মুশকিল। তবে আমার বিবেচনায়, যে ভাষায় একটি রচনা অনূদিত হচ্ছে সে-ভাষায় যেন অনুবাদটি পাঠযোগ্য হয় সে-ব্যাপারে অনুবাদকের লক্ষ্য রাখা উচিত।
মূলানুগততার দোহাই পাড়া অনেক অপাঠ্য অনুবাদ আমরা পেয়েছি। একটু উদাহরণ দিয়ে বলি: ধরুন, একটি উপন্যাস প্রথমে ফরাসিতে রচিত হয়েছে। সেটা ফরাসি থেকে কেউ বাংলায় অনুবাদ করলেন। দেখা গেল খুব খটোমটো হয়েছে, পড়া যাচ্ছে না, বাংলাটাকে বাংলা বলে মনে হচ্ছে না। অনুবাদক মূলানুগতার দোহাই পাড়লেন। বললেন যে, মূলের স্বাদ বজায় রাখতে গিয়ে এটা হয়েছে। বেশ...
মূলের কোনো অতিভক্ত পাঠকের জন্য আমার পরামর্শ এই যে, তিনি যেন মূল ভাষাতেই সেটি পাঠ করে মূলের রস গ্রহণ করেন। কারণ মূলানুগততার দোহাই পাড়া অনেক অপাঠ্য অনুবাদ আমরা পেয়েছি। একটু উদাহরণ দিয়ে বলি: ধরুন, একটি উপন্যাস প্রথমে ফরাসিতে রচিত হয়েছে। সেটা ফরাসি থেকে কেউ বাংলায় অনুবাদ করলেন। দেখা গেল খুব খটোমটো হয়েছে, পড়া যাচ্ছে না, বাংলাটাকে বাংলা বলে মনে হচ্ছে না। অনুবাদক মূলানুগতার দোহাই পাড়লেন। বললেন যে, মূলের স্বাদ বজায় রাখতে গিয়ে এটা হয়েছে। বেশ। কিন্তু এখন সেই উপন্যাসেরই একটি ভালো ইংরেজি অনুবাদ হাতে নিন। দেখা যাবে বিশ্বস্ত সেই অনুবাদ পড়তে আপনার তেমন অসুবিধা হচ্ছে না, ইংরেজিটাকে ইংরেজি বলেই মনে হচ্ছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? দুটো অনুবাদই তো মূল ভাষা থেকে করা হয়েছে? তাহলে বাংলাটা বা বিশেষ একটা ভাষা পড়া যাচ্ছে না কেন? অথচ হয়ত সেই একই ফরাসি উপন্যাসের আরেকটি বাংলা অনুবাদ মূল থেকে করা হয়নি, তৃতীয় একটি ভাষা ইংরেজি থেকে করা হয়েছে, কিন্তু সেটি দিব্যি পড়া যাচ্ছে। আবার ধরুন, এমন কোনো রচনা অনুবাদ করা হলো, মূল থেকেই, যেটি মূল ভাষাতেই বেশ খটোমটো, দুর্বোধ্য; যেমন, জেমস জয়েসের ইউলিসিস বা ফিনেগানস ওয়েক, বা আমোস তুতুওলার দ্য পাম ওয়াইন ড্রিংকার্ড। এখন, এই তিনটি রচনার অনুবাদ কি তরতরিয়ে পড়ে যাওয়ার মতো সুখপাঠ্য হওয়ার কথা, তা সে যে ভাষাতেই হোক?
সুখপাঠ্য হলেই তো বরং তা তেমন যথাযথভাবে অনুবাদ হয়নি বলে মনে করবো আমরা। কারণ, মূল ভাষাতেই সেটি ইচ্ছাকৃতভাবেই সুখপাঠ্য করা হয়নি। তার মানে, আসল কথা হচ্ছে যিনি অনুবাদ করছেন তাঁকে যে-ভাষায় অনুবাদটি করা হচ্ছে সে-ভাষায় ভালো দক্ষ হতে হবে, এবং কেতকী কুশারী ডাইসন কথিত ‘অনুবাদের মৌলবাদিত্ব’ পরিহার করতে হবে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা যাতে না হয় সেজন্য পরিষ্কার করে বলছি যে, অনুবাদ মূল ভাষা থেকেই করা ভালো। সে-ভাষা না জানা থাকলে তৃতীয় কোনো ভাষা থেকে করা ভালো। কিন্তু মূল ভাষা থেকে করলেই যে ভালো অনুবাদ হবে তার গ্যারান্টি দেয়া যায় না। বাংলায় অন্তত এর কিছু উদাহরণ আছে। যা বলতে চাই তা হচ্ছে, প্রতিটি ‘মৌলিক’ রচনার মতো প্রতিটি অনুবাদও একটি টেক্সট, একটি সৃজন। সেখানে আমরা কী পেলাম, সেটাই বরং যথেষ্ট গুরুত্ব পেতে পারে, বাকির খাতা শূন্য রেখে।
আবার ধরুন, একজন পাঠক মূল রচনাই পড়ছেন। লেখক যে-অভিজ্ঞতার আলোকে, অনুভবের অভিঘাতে যেভাবে লিখেছেন তার সব কি একজন পাঠক ধরতে পারেন? সেই পাঠে কি কিছু হারায় না? লেখক যখন লেখেন তখন সেসব অভিজ্ঞতার, অনুভবের সব কি তুলে আনতে পারেন তাঁর লেখায়? এই ‘লস্ট ইন ক্রিয়েশন’ নিয়ে মাথা ঘামাই না কেন আমরা? আমরা তো তাঁর সেই সৃষ্টিটি পেয়েই খুশি। তাহলে ‘লস্ট ইন ট্রান্সেলেশন’ নিয়ে এত মাথাব্যথা, এত হইচই কেন আমাদের? আমাদের সামনে মূল রচনাটি রয়েছে বলে? আর সেটার প্রতিতুলনায় অনুবাদটিকে মাপতে পারি বলে? কিন্তু যিনি মাপছেন তাঁর মাপ বা মাপকাঠি যে সঠিক তা কে বলল? বা, সেই বলায় সারবস্তু কতটা? প্রতিটি অনুবাদই একটি নতুন সৃষ্টি। সেখানে যদি কিছু হারায়ও, আমরা যে নতুন কিছু পাই না তা তো নয়। সেটার দিকেই বরং বেশি নজর দেয়া উচিত আমাদের। তার মানে এই নয় যে, আমরা অনুবাদে বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করব না। করব। কিন্তু সেই বিশ্বস্ততা কতটুকু হবে না-হবে সে-ব্যাপারে ফতোয়া দেয়া যায় না। সবাই সেসব ফতোয়ার সঙ্গে একমত হবেন না। এবং অনুবাদের পদ্ধতি দেশ-কাল-পাত্রভেদে বদলেছে, বদলাবে। সেটাই স্বাভাবিক। সেসব বদলের পেছনে সঙ্গত আর্থ-সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক কারণও রয়েছে।
বাংলা অনুবাদের সমস্যার ব্যাপারে যা বলবার, তা হচ্ছে, এখনো এদেশে জনসাধারণের মধ্যে তো বটেই, এমন কি সারস্বত মহলে, সাহিত্যের অনেক শিক্ষকের মধ্যেও, অনুবাদকে একটি দ্বিতীয় শ্রেণির কাজ বলে দেখা হয়। বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে এই মানসিকতাকে একটা বড় সমস্যা বলে মনে হয়। না হলে নানান জ্ঞানকাণ্ডের অনেক ক্লাসিক ও ভালো লেখা, ফিকশন, নন-ফিকশন বাংলায় অনূদিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকত না— ইদানিং দেশে অনুবাদের যে একটা জোয়ারের মতো এসেছে সেকথা মাথায় রেখেও একথা বলা যায়। আর, লেখকরাও যে অনুবাদকদের খুব একটা সমীহের চোখে দেখেন তা নয়, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়; যদিও তাঁদের বই অনুবাদ হলে তাঁরা বেশ গর্বের সঙ্গে সে-কথা ঘোষণা করে থাকেন। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। আর, আমাদের দেশে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষা থেকে কালে-ভদ্রে অনুবাদ হয়। জর্মন, হিস্পানি, ফরাসি, রুশ, আরবি, ইতালীয়, ওলন্দাজ, ফারসি, ইত্যাদি ভাষা থেকে অনুবাদ হয় না বললেই চলে। এ-ব্যাপারে সে-রকম কোনো মাথাব্যথাও নেই আমাদের। আর, আগেই উল্লেখ করেছি, সৃজনশীল রচনার পাশাপাশি মননশীল রচনা তথা নন-ফিকশন অনুবাদের দিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত, যে-কাজটা খুব কম হচ্ছে। তারপরেও এটা আনন্দের বিষয়, দেশে এখন নানান বই অনুবাদ হচ্ছে। আর তার মান যে খুব খারাপ তা বোধহয় বলা যাবে না।
বাংলা অনুবাদে পরিভাষার সমস্যা আরেকটি বড় বাধা। বাংলা একাডেমি একসময় কিছু পরিভাষার বই বের করেছিল। সেসব এখন দুষ্প্রাপ্য। ভালো অভিধানেরও অভাব প্রকট। ভালো ইংরেজি-বাংলা অভিধানের অপ্রতুলতার কথা ভুক্তভোগী মাত্রই অবগত আছেন। একটি শব্দের একাধিক মানে থাকে। কনটেক্সট অনুযায়ী সেসব শব্দের যথাযথ মানে না বুঝতে পারলে অনুবাদ অনেক সময় হাস্যকর বা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে...
অনুবাদের পাঠযোগ্যতার সূত্রে আরেকটি কথা না বললেই নয়। পাঠক ভেদে বিষয়টির তারতম্য হতে পারে কিন্তু তারপরেও সাধারণ বিচারে সহজ সরল বোধগম্য অনুবাদই পাঠকের পছন্দ। মুশকিল হচ্ছে, সব লেখক একইভাবে লেখেন না। সবার রচনাশৈলী একরকম নয়। এখন, সবার লেখা পাঠকের সুবিধার্থে সহজবোধ্য করে অনুবাদ করলে, দীর্ঘ বাক্যগুলো [অপ্রয়োজনে] ভেঙে ভেঙে, কারো ব্যবহৃত [আপাত] কঠিন শব্দের সহজবোধ্য বাংলা শব্দ ব্যবহার করলে, এক লেখক থেকে আরেক লেখককে আলাদা করা যায় না। অবশ্যই, কথাটি মূলত ফিকশন অনুবাদের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে। নন-ফিকশন অনুবাদের বেলায় কথাটা ততটা খাটে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখানে তত্ত্ব ও তথ্য অবিকৃত বা অবিকল রেখে অনুবাদটি যতটা সম্ভব সহজবোধ্য বা সহজপাঠ্য করে পাঠকের সামনে পরিবেশন করাটাই বোধহয় মুখ্য বিষয়। ফিকশনের বেলাতে, উৎস-ভাষার লেখকের রচনাশৈলীর আস্বাদ লক্ষ্য ভাষার পাঠককে যতদূর সম্ভব দিতে হলে অনুবাদককে মাঝেমধ্যে খানিকটা আড়ষ্ট অনুবাদের দায় নিতে হতে পারে। সে দায় কোনো অনুবাদক নেবেন কিনা সাহসভরে, তা সংশ্লিষ্ট অনুবাদকের ব্যাপার।
বাংলা অনুবাদে পরিভাষার সমস্যা আরেকটি বড় বাধা। বাংলা একাডেমি একসময় কিছু পরিভাষার বই বের করেছিল। সেসব এখন দুষ্প্রাপ্য। ভালো অভিধানেরও অভাব প্রকট। ভালো ইংরেজি-বাংলা অভিধানের অপ্রতুলতার কথা ভুক্তভোগী মাত্রই অবগত আছেন। একটি শব্দের একাধিক মানে থাকে। কনটেক্সট অনুযায়ী সেসব শব্দের যথাযথ মানে না বুঝতে পারলে অনুবাদ অনেক সময় হাস্যকর বা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভাল অভিধানের বিকল্প নেই।
অন্য সব ক্ষেত্রের মতো অনুবাদেও পেশাদারিত্বের ভূমিকা অসীম। কিছু ব্যাপার নিশ্চিত করা গেলে আমাদের দেশের অনুবাদের দৃশ্যপটই পাল্টে যেতে পারে। প্রথমত অনুবাদের প্রতি ভালোবাসা, উৎস ও লক্ষ্য, ভাষা-সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা। দ্বিতীয়ত, [বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে] একটি কাজের মোটামুটি ভালো বাংলা অনুবাদ থাকলে সেটা আর অনুবাদ না করা [যদি না রচনাটি অনুবাদকের খুব প্রিয় হয়, কারণ অনেক প্রয়োজনীয় কাজ এখনো বাংলায় অনূদিত হওয়ার জন্য পড়ে আছে]। তৃতীয়ত, অনুবাদকের উপযুক্ত সম্মানী ও কাজগুলোর প্রচার নিশ্চিত করা। চতুর্থত, কেবল ইংরেজি নির্ভর না হয়ে অন্যান্য ভাষা থেকেও অনুবাদ করা [সেজন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, আনুকূল্য খুব জরুরি]। পঞ্চমত, পাঠ সংস্কৃতি ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতিসহ নানা পদক্ষেপই পাল্টে দিতে পারে বাংলা অনুবাদের দৃশ্যপট।
ধন্যবা, স্যার। লেখাটা আমার কাজে আসবে।
আলমগীর মোহাম্মদ
মে ০২, ২০২১ ১৮:১৩
মোদ্দা কথাগুলো বেশ গুছিয়ে বলেছেন! আমরা কাজ করার চেয়ে কাজটা কোন শ্রেণির তা নিয়ে বোধ হয় একটু বেশিই ভাবি!
Ahmad Mazhar
মে ১০, ২০২১ ০৫:০৬
অনুবাদ মানুষ তখনই মানুষ পড়ে, যখন সে মূল ভাষা জানে না। মূল ভাষায় পড়তে পারলে অনুবাদ কেন পড়বো। তাই মূলে কী ছিলো, এখন কী হারালো এসব বিবেচনা অনুবাদ পড়তে চিন্তা করা অর্থহীন। বরং অনুবাদকে আমি স্বাধীন স্বতন্ত্র স্বয়ম্ভু হিসেবে স্বীকৃতি দেই। আপনার লেখাখান জব্বর হইচে সাহেব! একনদীতে দুবার গোসল কেমনে হয়?
Mehadi Hasan
মে ১০, ২০২১ ১১:১৫
অনুবাদ নিয়ে মোটামুটি একটা পূর্নাঙ্গ আলোচনা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। লেখাটি বেশ সুখপাঠ্য। অনুবাদ-চর্চা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা দরকার আছে। সফটওয়ারের মাধ্যমে অনুবাদ যে একটা ভাইরাস ছড়াচ্ছে সেটা নিয়ে উল্লেখ থাকলে ভালো লাগত। সেরকম বই প্রকাশনা অনুবাদের বাজার নষ্ট করছে, পাঠককে বিভ্রান্ত করছে সে ধরনের কথা আসা দরকার।
Syed Zaki rHussain সৈয়দ জাকির হোসাইন।
মে ১০, ২০২১ ১৫:২৮
আরবি থেকে প্রচুর অনুবাদ হচ্ছে৷ এবং সেগুলোর মান যথেষ্ট ভালো৷
আহমাদ সাব্বির
জুলাই ০৪, ২০২১ ১৮:২৪
আামার মনে হয় প্রতিজন অনুবাদকের এই লেখাটি পড়া উচিৎ। এছাড়াও প্রতিজন ভালো পাঠকেরও অনুবাদ বিষয়ক এই বিষদ আলোচনা জেনে রাখা উচিৎ। একজন লেখক হিসেবে প্রিয় অনুবাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা রইল।
আহমেদ ফারুক মীর
জুলাই ১৩, ২০২২ ১৪:০০