মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দুষ্প্রাপ্য ও অগ্রন্থিত রচনা ‘নাফ’

 

মোতাহের হোসেন চৌধুরী

শিক্ষাবিদ ও লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী। ১৯০৩ সালে নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। এরপর ইউসুফ হাই স্কুলে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে লেকচারার পদে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান করে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। মোতাহের হোসেন চৌধুরী কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি প্রথম দিকে কবিতা লিখতেন। বাঙালি মুসলমান সমাজের অগ্রগতির আন্দোলন হিসেবে পরিচিত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এই আন্দোলনে কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, আবদুল কাদির প্রমুখের সহযোগী ছিলেন। তিনি ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র শিখার পঞ্চম বর্ষে ১৯৩১ সালে তাঁর প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথ  বৈরাগ্যবিলাস প্রকাশিত হয়। তিনি বিচিত্রা, মাসিক মোহাম্মদী, সওগাত, ছায়াবীথি, বুলবুল প্রভৃতি সাহিত্য পত্রিকায়ও প্রবন্ধ লিখেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ সংস্কৃতি কথা [১৯৫৮]। এ ছাড়া তাঁর অনুবাদকৃত দুটি গ্রন্থ হচ্ছে ক্লাইভ বেলের Civilization গ্রন্থ অবলম্বনে রচিত সভ্যতা [১৯৬৫] এবং বার্ট্রান্ড রাসেলের Conquest of Happiness গ্রন্থের অনুবাদ সুখ [১৯৬৫]। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি সৈয়দ আবুল মকসুদের সম্পাদনায় মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সব লেখা রচনাবলি আকারে প্রকাশ করে। 

তর্ক বাংলা মোতাহের হোসেন চৌধুরীর নাফ নামের দুষ্প্রাপ্য অগ্রন্থিত রচনা পাঠকের জন্য উপস্থাপন করছে। প্রকাশিত প্রবন্ধে কিছু কিছু মুদ্রণপ্রমাদ শুদ্ধ করা হয়েছে। তবে লেখকের বানানরীতি সংস্কার করা হয়নি। রচনাটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রায় সাত দশক আগে, ১৯৫৪ সালে। এটি তিনি পাকিস্তান রেডিওতে পাঠ করেন। নদী পরিক্রমা নামের এক সংকলনে কথিকাটি প্রকাশিত হয়। সংকলনটির প্রকাশক পাকিস্তান পাবলিকেশান্‌স। বইটি একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় করাচি ও ঢাকা থেকে। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর অমূল্য লেখাটি আমাদের সরবরাহ করেছেন চিত্রশিল্পী গৌতম ঘোষ

সম্পাদকীয় নোট

 

নাফ

নদীতে ঘুরে বেড়ানো আমার নেশা। চাটগাঁ আসার পর কর্ণফুলীতে কয়েকবার ঘুরে বেড়িয়েছি এবং রেডিওর মারফত তার বিবরণও পরিবেশন করেছি। এবার আমার ঝোঁক চাপলো নাফ নদী ঘুরে বেড়ানোর। আমার বড় বদ-অভ্যাসনেশা চাপলে তা আর আমি দমাতে পারিনে। তাই কতিপয় বন্ধু নিয়ে লোটা-কম্বল সম্বল করে বেরিয়ে পড়লুম নাফ্ নদীর সন্ধানে। চাটগাঁ থেকে স্টীমার যোগে এলুম কক্স বাজারে। সেখানকার বেলাভূমিতে ঘুরে বেড়ালুম দুদিন। কী সুন্দর জায়গা! সেখানে বিচিত্র শাঁখ আর ঝিনুক কুড়িয়ে যা আনন্দ পেয়েছিলুম তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সমুদ্র-তীরের লাল কাঁকড়ার পেছনে ছুটাছুটি করা আরেক মজার ব্যাপার; আমার এক বন্ধু এদের নাম দিলেন সজীব পলাশ ফুল। সত্যি পলাশ ফুলের মতো টকটকে লাল এদের গায়ের রং, আকৃতিতেও অনেকটা পলাশ ফুলের মতো। দূর থেকে মনে হয়, কে যেন শখ করে অনেকগুলি পলাশ ফুল ছিটিয়ে দিয়েছে বালুকাময় প্রান্তরে। কিন্তু যেই রঙের টানে আপনি সেদিকে যাবেন, অমনি তারা ভয়ে চঞ্চল হয়ে উঠবে; আর আপনি টের পাবেনএরা পলাশ ফুল নয়, সজীব কিছু। নাম জিজ্ঞেস করে জানবেন, সজীব কাঁকড়া। আপনার ইচ্ছে হবে হাতে তুলে নিতে। চেষ্টাও করবেন। কিন্তু আপনার চেষ্টা ফলবতী হবে না। যেই ছুঁতে যাবেন অমনি সুড়সুড় করে গর্তে ঢুকবে। সজীব পলাশ ফুলের লাল সুরমা চোখে লাগিয়ে আপনি শীতকালেও বসন্তের রঙ উপলব্ধি করবেন।

মন সরছিল না কিছুতেই কক্স বাজারের বেলাভূমি ছাড়তে। সমুদ্র, আকাশ, বেলাভূমি সমস্ত কিছু বলছিল যেতে নাহি দেব। তবু শেষ পর্যন্ত মায়ার বাঁধন ছিন্ন করতেই হয়। উদ্দিষ্ট স্থানে না গেলে যে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যাবে না। ভ্রমণে বেরোলে এক জায়গায় আঁকড়ে থাকা যায় না। কে যেন সব সময়েই মনের মধ্যে বলতে থাকে, হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে। তাই স্মৃতির বেদনা সহ্য করেও অজানার দিকে ফিরে চলতে হয়।

লঞ্চযোগে নাফ নদীর মোহনা দিয়ে নীলাতে (Hanila) গিয়ে পৌঁছাতে লাগলো একদিন। পৌঁছে তো একেবারে অবাক, নদী কোথায়? এ যে সমুদ্রের মতো একটা বিরাট বিস্তার। দক্ষিণে চাই, উত্তরে চাই, ফেনায় ফেনা, আর কিছু নেই। একে যদি নদী বলা হয়, তো সাগর বলবো কাকে?

নাফ নদীতে গিয়ে আমরা সামপানে চড়লুম। লঞ্চে থাকলে জলধারার সংগে অন্তরঙ্গ সম্বন্ধ হয় না। তাই লঞ্চের বদলে সামপানে বেড়ানোই আমরা পছন্দ করলুম। নৌকা ক্রমশঃ উজানের দিকে চলতে লাগলো। স্রোতের উল্টা দিকে যাওয়া, তাই ঢেউয়ের আঘাত নৌকাকে বিপর্যস্ত করে তুলছিল। মাঝে মাঝে ঢেউ বড় হয়ে নৌকার উপরে মুখ রেখে দেখে নিচ্ছিল নৌকার ভেতরে কি আছে। যেন জল-পুলিশ নৌকার ভেতরে খানাতল্লাসী করছে। তরঙ্গেরা তো খেলা করছে; কিন্তু তাদের পক্ষে যা খেলা, আমাদের পক্ষে তাই মৃত্যুর মতো ভয়ঙ্কর। আমরা ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়ছি দেখে মাঝিরা বললে, ঘাবড়াবেন না। এত অল্প ঢেউয়ে সামপান কোনোদিন কাৎ হয় না। এবার আমাদের বুকে সাহস এলো। আমরা নির্ভয়ে তরঙ্গের শোভা দেখতে লাগলুম। তরঙ্গগুলো অজগরের মতো ফোঁস ফোঁস করে এগিয়ে আসছে যেন ছোবল মারতে। ঢেউয়ের মাথায় শাদা ফেনাগুলো কুন্দ ফুলের মতো শোভা পাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের দুঃসময়-এর কয়েকটা লাইন মনে পড়লো, বলে উঠলুম:

এ নহে মুখর বনমর্মরগুঞ্জিত,
     
এ যে অজাগরগরজে সাগর ফুলিছে।
এ নহে কুঞ্জ কুন্দকুসুমরঞ্জিত,
     
ফেনহিল্লোল কলকল্লোলে দুলিছে।
কোথা রে সে তীর ফুলপল্লবপুঞ্জিত,
     
কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা!
           তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
     
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

কিছুদূর এগিয়ে আমরা দক্ষিণ হস্তের কাজ সমাপন করতে যাব, এমন সময় মাঝি বলল: আপনাদের সঙ্গে যখন মিঠা পানি আনেননি তখন এখানে না খাওয়াই ভালো। এখানকার পানি সমুদ্রের পানির মতোই লোনা। আর কিছুদূর গেলেই মিঠা পানি পাবেন, তখন খাবেন। মাঝির কথা-মতো খাওয়া স্থগিত রেখে আমরা গান গাইতে শুরু করলুম। আমার এক চাটগেঁয়ে বন্ধু ভালো গাইতে পারতেন। তাঁকে আমরা অনুরোধ করলুম, নজরুল ইসলামের আমার সাম্পান যাত্রী না লয় গানটি ধরতে। অনুরোধ করার সংগে সংগেই তিনি না, না বলে উঠলেন। যাঁরা গাইতে পারেন তাঁদের অমনি ধারা। অনুরোধের সংগে সংগে গেয়ে ফেললেন যেন তাঁদের ইজ্জতের হানি হয়। পরে তিনি গাইলেন

আমার সাম্পান যাত্রী না লয়
ভাঙা আমার তরী;
আমি আপনারে লয়ে রে ভাই
এপার ওপার করি।
...

উপযুক্ত পরিবেশে গীত হওয়ায় গানটি জমেছিল বেশ। এখন নদীটি সম্বন্ধে কিছু বলা দরকার। যেখান থেকে আরাকান-ইউমা বা আরাকানের লুসাই শুরু হয়েছে, সেখান থেকেই নাফের উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থল যদিও অপ্রশস্ত, তথাপি নীচের দিকে ক্রমশঃ নদীটির বিস্তার বেড়ে গেছে। যেখানে নাফ নদী চট্টগ্রামের শেষ সীমা টেকনাফ্ থেকে বার্মা ইউনিয়নের মংডো মহকুমাকে পৃথক করেছে সেখানে তার প্রস্থ প্রায় তিন মাইল। প্রস্থে এত বড় নদী পূর্ববঙ্গে আর নেই।

নাফ নদীর উভয় তীরের জনসংখ্যার অধিকাংশ মুসলমান। দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও মংডো অঞ্চলের মুসলমানদের আকৃতি-প্রকৃতিতে কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। উভয় পারের লোকদের মধ্যে যথেষ্ট সম্প্রীতি রয়েছে। ওদের ভাষাগত ঐক্যও লক্ষ্যযোগ্য। ‍উভয় তীরের লোকদের মাতৃভাষা চাটগেঁয়ে বাংলা। ভাষার একতা তাদের সম্প্রীতির বাঁধনকে করেছে সুদৃঢ়। নাফ্ নদীর তটভূমির বাসিন্দা আরাকানের মুসলমানরা বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে তাকায়। ভাষাগত ঐক্য ও ধর্মগত ঐক্য, এ দুয়ের আকর্ষণে আরাকানী মুসলমানরা সব সময় পাকিস্তানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নাফ নদীর বিপুল বিস্তৃতি দু্ই কূলের মুসলমানদের আত্মার বাঁধনকে ছিন্ন করতে পারেনি।

পাকিস্তান ও বার্মার সীমান্তে অবস্থিত বলে নাফ নদীর সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম। উভয় তীরে দুই রাষ্ট্রের সৈন্য নিয়মিত পাহারা দেয়। সবচেয়ে লক্ষ্য করার জিনিস এই যে, নাফ নদীকে দুই রাষ্ট্র সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছে। চট্টগ্রামের সন্নিহিত অর্ধভাগ পাকিস্তানে আর আরাকানের সন্নিহিত অর্ধভাগ বার্মায় পড়েছে। পাকিস্তানী জাহাজ ও নৌকা থাকে পাকিস্তানীদের ভাগে, বার্মারগুলো থাকে বার্মার ভাগে। সীমা ডিঙ্গালেই বিপদ। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে পাসপোর্ট প্রচলিত থাকায় নদীতে যথেচ্ছভাবে যাওয়া-আসা করা যায় না। চট্টগ্রাম শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ষ্টীমার যাতায়াত করে। এই ষ্টীমার আরাকানের মংডো নামক স্থানেও যায়। এখানে যখন ষ্টীমার দাঁড়ায়, উভয় দিকে বার্মা ও পাকিস্তানের অংশ দেখা যায়। নাফ নদীর মধ্য দিয়ে আমাদের যুদ্ধ-জাহাজ যখন অর্ধ চন্দ্রখচিত পতাকা দুলিয়ে চলে যায়, তখন পাকিস্তানের অধিবাসীরা বিশেষ গর্ববোধ করে।

দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এক সময় বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এখন নিয়ন্ত্রণের ফলে তা কিছুটা কমলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। নাফ নদীর বক্ষে পাকিস্তানের ও বার্মার অসংখ্য সাম্পান সাদা সাদা পাল উড়িয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়। এই অসমসাহসী নাবিকেরা ছোট্ট তরীগুলি নিয়ে যেভাবে পাড়ি জমায় তা দেখে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। তখন মনে পড়ে যায়, এই মাঝিদের পূর্ব-পুরুষেরাই এমনি পালের তরী নিয়ে জাভা, সুমাত্রা, বোর্ণিও প্রভৃতি দ্বীপে সহজেই পাড়ি দিত। পূর্ব-পুরুষদের এই ঐতিহ্যকে ওরা ঠিক মতোই বজায় রেখেছে। সমুদ্র এবং ঝড়-ঝঞ্ঝাকে ওরা বিন্দুমাত্রও ভয় করে না।

নাফ নদী অত্যন্ত খরস্রোতা। শীতকালে অবশ্য এর চেহারা হয় সাপের পিঠের মতো মসৃণ। তখন উত্তাল তরঙ্গের ক্রুদ্ধ গর্জনে বীরত্ব প্রকাশের ইচ্ছা আর তার থাকে না। আবার বর্ষার দিনে তার আক্রোশ বেড়ে যায়। উত্তাল তরঙ্গ তুলে সে দুই তীরকে প্লাবিত করে যেতে চায়। বর্ষাতে তার ভয়ঙ্করী রূপ।

টেকনাফে নাফ-তং নামক একটি পাহাড় আছে। সেটি ক্রমশ এগিয়ে এসে একেবারে নাফ নদীর মাঝে ঢুকে গেছে। দেখলে মনে হয় যেন নদীটির বুক চিরে হঠাৎ পাহাড়টির মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। নাফ-তংকে ডিঙ্গিয়ে সকালে সূর্য নাফ নদীর উপরে কিরণ ঢালতে থাকে। তখন নাফ নদীর পানি হয় সোনালী ধারার মতো। বিকেলেও এমনি অবস্থা হয়। তখন সূর্য ক্রমশঃ পশ্চিম গগনে নাচতে নাচতে টুপ করে একসময় বঙ্গোপসাগরের কোলে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। ঢেউগুলো যখন একের উপর আরেকটি ভেঙ্গে পড়ে আর তার উপর সূর্যকিরণ ঝিলিক মেরে যায়, তখন নাফ নদী এক অপূর্ব শোভা ধারণ করে। নাফ নদীর সৌন্দর্য এখনও অনুদঘাটিত; কিন্তু তাই বলে তার মূল্য এতটুকু কমে যায়নি। যেদিন সাহিত্য ও শিল্পে এর সৌন্দর্য উদ্ঘাটিত হবে সেদিন সকলেই ছুটবে নাফ নদীর অপরূপ সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণ করতে। সেখানে একটা রোমান্টিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায়। অপরিচিত ও অজানার পরিবেশ রোমান্টিসিজম-গন্ধ নিয়ে আসে। দেশের মধ্যে থেকেই যদি বিদেশ দেখতে চান তো চাটগাঁ আসুন; চাটগাঁ পেরিয়ে কক্সবাজার, কক্সবাজার পেরিয়ে টেকনাফ যান। দেশেও থাকবেন, বিদেশও দেখবেন।