চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন
আশির দশকের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন। জন্ম ১৯৫৮ সালে চাঁদপুর জেলায়। ১৯৮২ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে জার্মান সরকারের বৃত্তি নিয়ে চারুশিল্পে দুই বছরের উচ্চতর ডিএএডি কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রথম প্রদর্শনী ১৯৮৮ সাল থেকে দেখা যায় প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনের বাইরে তাঁর কাজের উপাদানে পরিবর্তন। শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেন শিল্পী ঢালী আল মামুন।
উল্লেখ্য আশির দশকে বাংলাদেশের একদল শিল্পী প্রথাগত পথ থেকে দূরে সরে নতুন পথে হাটঁতে শুরু করেছিলেন। সময় নামের ওই দলের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় একজন শিল্পী ঢালী আল মামুন। যাঁরা বিমূর্ত চিত্ররীতির জেঁকে বসা আধিপত্যের বিরুদ্ধে বীতস্পৃহ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, সেই চিত্ররীতি দেশের সমকালীন ইতিহাসের অভিজ্ঞতাকে নাকচ করে দিচ্ছে, শিল্পকর্মকে পর্যবসিত করেছে ক্যানভাসের নিছক উপরিতলের বর্ণভঙ্গিমায়। তাদের প্রতিবাদ কেবল চিত্ররীতির বিরুদ্ধেই ছিল না, নতুন এক সমকালীন চিত্রভাষার সন্ধান করেছেন।
ঢালী আল মামুন দেশে-বিদেশে অসংখ্য একক ও যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডিএএস, ঢাকা আর্ট সামিট [২০২০]; মাঝি ইন্টারন্যাশনাল আর্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম, ভেনিস, ইতালি [২০১৯]; ঢাকার কলা কেন্দ্রে, শিরোনাম: ড্রইং এন্ড থিঙ্কিং, থিঙ্কিং এন্ড ড্রইং-১ [২০১৮]; বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে, শিরোনাম: টাইম, কো-ইন্সিডেন্স অ্যান্ড হিস্টরি [২০১৬]; ঢাকার গুলশান বেঙ্গল গ্যালারিতে, শিরোনাম: অপনয়ন [২০১২]; ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে, শিরোনাম: কাগজের ছায়া [শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের সঙ্গে যৌথ, ২০০৯]; অঁলিয়েস ফ্রসেজ, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে, শিরোনাম: ওয়াটার ইজ ইনোসেন্ট [২০০৪]।
চারুশিল্পে দেশের প্রধান স্বীকৃতিগুলোর অন্যতম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক পেয়েছেন তিনি ২০০০ সালে, ঢাকায় আয়োজিত দ্বাদশ এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে গ্র্যান্ড পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৬ সালে। ২০১৩ সালে ইতালির ভেনিসে আয়োজিত ৫৫তম বিয়েনালে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, জাপানের ফুকুওকা এশিয়ান আর্ট মিউজিয়াম, নরওয়ের ইবসেন মিউজিয়ামসহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সংগ্রহে আছে তাঁর শিল্পকর্ম। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।
শিল্পী ঢালী আল মামুনের ফেসবুক পেইজ [FaceBook]।
শিল্পী ঢালী আল মামুনের একক অনলাইন চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর শিরোনাম শতাব্দীর আখ্যান। চলবে ৫ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর ২০২১ সাল নাগাদ। শিল্পকর্মের ছবি কপিরােইট © ঢালী আল মামুন।
শতাব্দীর আখ্যান: ১
শতাব্দীর আখ্যান: ২
শতাব্দীর আখ্যান: ৩
শতাব্দীর আখ্যান: ৪
শতাব্দীর আখ্যান: ৫
শতাব্দীর আখ্যান: ৬
শতাব্দীর আখ্যান: ৭
শতাব্দীর আখ্যান: ৮
শতাব্দীর আখ্যান: ৯
শতাব্দীর আখ্যান: ১০
শতাব্দীর আখ্যান: ১১
শতাব্দীর আখ্যান: ১২
শতাব্দীর আখ্যান: ১৩
শতাব্দীর আখ্যান: ১৪
শতাব্দীর আখ্যান: ১৫
মামুন ভাই দারুন সব কাজ দেখলাম, শতাব্দী এখন শেষপ্রান্তে ...
Novera Hossain
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১২:২০
বরাবর স্যারের কাজ ভীষণ প্রিয়। ভাবনার খোরাক যোগায়, নতুন পথ খোলে। চমৎকার আয়োজনের জন্যে তর্কবাংলাকে ধন্যবাদ।
Lusifer Laila
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৫:৪৬
সাধুবাদ তর্কবাংলা। ঢালী ভাইকে শুভেচ্ছা। সবসময় অনুপ্রাণিত হই।
ঋতু
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৫:৩৪
ঢালী আল মামুনের কাজ দেখা দারুণ এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া। তাই গেলাম। দারুণ লাগলো।
সাইদুল ইসলাম
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৫:০৯
দারুণ লাগলো ড্রইংগুলো স্যার! শুভকামনা ও অভিনন্দন।
সন্জীব দত্ত
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৭:৪২
অনেকদিন পর মামু এর কাজ দেখলাম।উপভোগ করলাম,চিত্তে কিছুটা সুখ এলো। মামুন/জলী ভাল থেক।
দেওয়ান মামুন
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৮:৪৪
অসাধারণ! স্যার এর এই কাজগুলো আগে দেখিনি, তর্কবাংলাকে ধন্যবাদ।
আবু নাসের রবি
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৯:৫৭
অসাধারণ লাগলো।
mita Basu
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৯:০৬
স্যারের কাজগুলো অনেক আলাদা লাগলো। মিডিয়াটি চমৎকার।
সুব্রত দাশ
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ১৯:২০
খুব ভালো লাগল মামুন ভাই!
Ahmad Mazhar
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ২১:২৪
অসম্ভব সুন্দর লাগল আর্টওয়ার্কগুলো স্যার।শুভকামনা রইল।
প্রজ্ঞা পারমিতা নাহা
অক্টোবর ১৩, ২০২১ ২২:৫৫
ভাবতে শেখায়
এস এম মিজানুর রহমান
অক্টোবর ১৪, ২০২১ ০০:০৩
দারুণ সব কাজ
সাকিব শাকিল
অক্টোবর ১৪, ২০২১ ১৪:২৮
Great
chinukabir kabir
নভেম্বর ০৪, ২০২১ ১৮:২৯
চিন্তা ও শিল্পবোধ জাগানিয়া। শিল্পীর জন্য শুভকামনা।
Himadri Sarker
ডিসেম্বর ০১, ২০২১ ১৩:১৯
দূর্দান্ত সব সময়ের আখ্যান। কৃতজ্ঞতা তর্কবাংলার প্রতি।
Taslima Akter Badhon
ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২ ২২:২১
Amazing work
Halima Akhter
অক্টোবর ১২, ২০২১ ২১:৩৩