দিলারা বেগম জলি
আশির দশকের একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি। জন্ম ১৯৬০ সালে, চট্টগ্রামে। চিত্রকলা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে নেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তিনি ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ছাপচিত্র বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতনে। ২০০১ সালে ভারতের ‘বন্ড বেয়ন্ড বর্ডারস’ আর্টিস্ট রেসিডেন্সি লাভ করেন তিনি।
শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেন শিল্পী দিলারা বেগম জলি। তার মধ্যে চিত্রকলা, ছাপচিত্র, পারফরম্যান্স, ভিডিও-শিল্প ও নানা নিরীক্ষাধর্মী কাজ উল্লেখযোগ্য। তাঁর শিল্পের প্রধান বিষয় নতুন ভাষার সন্ধান, লৈঙ্গিক প্রকরণ, মানসিক আনন্দ-বেদনা ও নারীর দেহ। দেশে-বিদেশে অসংখ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর প্রথম একক প্রদর্শনী হয় ১৯৯১ সালে। সেটা ছিল ছাপচিত্র শিল্পের প্রদর্শনী। তার আগেও তিনি বেশকিছু যৌথ প্রদর্শনীতে স্থান পায় জলির শিল্পকর্ম। জাতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রদশর্নীতে অংশ নেন তিনি। বিদেশে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, মিশর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, নেপালসহ একাধিক প্রদর্শনীতে তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।
সম্প্রতি দিলারা বেগম জলির শিল্পকর্ম নানান যৌথ প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ছবি মেলা ২০২১-এ তাঁর প্রদশর্নীর শিরোনাম ‘দেহের আখ্যান’। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল গ্যালারির চিত্র প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘জঠর লিপি’। ২০১৮ সালে ঢাকা আর্ট সামিটে প্রদর্শিত শিল্পকর্মের নাম ‘যুদ্ধের পর যুদ্ধ’। জলির আলোচিত এই শিল্পকর্ম পরে পোল্যান্ডের ওয়াসোর মডার্ন জাদুঘর [২০১৮], মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন [২০১৯] ও হংকংয়ের পারা সাইটে [২০১৯] প্রদর্শিত হয়।
তিনি বেঙ্গল ফাউন্ডেশান এওয়ার্ড [২০০২], জাতীয় শিল্পকলা প্রদর্শনী সম্মাননা [১৯৯৬], জয়নুল আবেদিন পুরস্কার [১৯৮১], অল মিডিয়া বেস্ট এওয়ার্ড [১৯৮০] ও বেস্ট এওয়ার্ড এক্সপো [১৯৮০] অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে বসবাস করছেন।