• ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

দার্শনিক, লেখক ও শিক্ষাবিদ। পুরো নাম আর্থার উইলিয়াম রাসেল একজন ব্রিটিশ মানবতাবাদী দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী এবং সমাজ সমালোচক। জন্ম ১৮৭২ সালের ১৮ মে, ব্রিটেনের ওয়েলসের ট্রেলেক নামক স্থানে। তাঁর পিতামহ লর্ড জন রাসেল উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে দুইবার ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শৈশবে চার বছর বয়সের মধ্যেই মা-বাবাকে হারানোর পর রাসেল পিতামহীর তত্ত্বাবধানে লালিত পালিত হন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে পড়ার সময় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। গণিত ও দর্শনশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণি অর্জনের বিরল সম্মান লাভ করেন তিনি। রাসেলের চরিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্যজীবনের কোনো নীতিকে বিনা প্রশ্নে স্বীকার করেননি এবং কোনো নীতিতে অবিচলও থাকেননি। রাসেলের মতে, দর্শনের মর্মবস্তু হলো যৌক্তিক বিশ্লেষণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধ-বিরোধিতার দায়ে ছমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় রাসেলকে। এই ছয়মাসের মধ্যেই লিখে ফেলেন ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথম্যাটিক্যাল ফিলসফি। এর আগে প্রকাশিত হয়েছিলো প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমিটিকা। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলোThe Conquest of   Happiness, Marriage and Morals, Sceptical Essays, Why I am not a Christian. ১৯৫০ সালে নোবেল পুরস্কার পান রাসেল। ১৯৫৪ সাল থেকেই পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনে অক্লান্ত যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬১ সালে তাকে আবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন রাসেল। ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামের যুদ্ধ অপরাধের জন্য সংগঠিত করেন আন্তর্জাতিক বিচার সভা। ১৯৭০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আটানব্বই বছর বয়সে মারা যান বার্ট্রান্ড রাসেল।