প্রেম-অপ্রেমের ‘ঘুমতৃষ্ণা’
গল্পের কাব্যিক ঢংই পাঠককে আকৃষ্ট করে। গল্পের ভেতরে কাব্যিকতা থাকলে মানুষের মননজগৎকে সহজেই আকৃষ্ট করা যায়। গল্প নানা রকম হতে পারে—প্রকৃতি কেন্দ্রিক, প্রেম বিষয়ক, সামাজিক, ভৌতিক, হাস্যরসাত্মক, উদ্ভট, সাংকেতিক, ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক, মনস্তাত্ত্বিক বা জীবনসংগ্রামে ভরপুর।
সাহিত্যে গল্পের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। মৌখিক বা লিখিতভাবে মানুষ স্বভাবত গল্প শুনতে ভালোবাসে। প্রাণ-প্রকৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যকে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারা বিশেষ যোগ্যতার ব্যাপার। এতে সমাজ-সভ্যতার বাস্তবতা তুলে ধরা যায় গল্পকারের চিন্তাশক্তি দিয়ে।
গল্পকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে হয় অল্প কথায় লক্ষ্য স্থির বা বক্তব্য ঠিক রেখে পাঠকের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা। তাহলে গল্পের সূচনা এবং সমাপ্তির ইতিহাসকে গুলিয়ে ফেলতে পারবে না পাঠকসমাজ। আমাদের সাহিত্যে পাঠককে আকৃষ্ট করতে না পারার বড়ই অভাব!
সাহিত্যে রস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গল্পকারদের এ বিষয়টিতে আরও কঠিনভাবে নজর দিতে হয়। সাধারণত গল্প হলো গতিময় বর্ণনা। যে বর্ণনায় সমাজের গতিময়তা উঠে আসে। ভাষাবিন্যাস হয় নির্মেদ; কিন্তু ইঙ্গিতধর্মী। সুন্দর উপস্থাপনার বিশেষ যোগ্যতার জন্য পাণ্ডিত্যে ভরপুর হলেই শুধু চলে না, এর জন্য সমাজের ভেতরের চিত্রগুলো বিশেষভাবে অবলোকন করতে হয়।
সাহিত্যে কবিতা থেকে গল্পে রূপান্তর এক কষ্টসাধ্য কাজ। কেননা, একমাত্র কবিতাকেই সাহিত্যে ছোটগল্পের সঙ্গে তুলনা চলে। সে হিসেবে গল্পকার ফয়জুল ইসলাম সফল হয়েছেন।
দুই
আশির দশকের গল্পকার ফয়জুল ইসলাম। গল্পের ভেতরেই তাঁর বসবাস। গল্পেই মশগুল থাকেন। তিনি ইতোমধ্যে ছয়টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন। তাঁর লেখা ঘুমতৃষ্ণা বইটিতে পাঁচটি গল্প রয়েছে। এতে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বোধের ছাপ পাওয়া যায়।
গল্পকারের আলাদা ভাষাশৈলী থাকে। যে ভাষাশৈলীকে মাধুর্যমণ্ডিত করে পাঠকের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে হয়। আমাদের সমাজবাস্তবতায় সাহিত্যের নামে এর অপতৎপরতাই বেশি। সেখানে ফয়জুল ইসলামের মতো একজন নিভৃতচারী গল্পকার কতটাই-বা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন!
গল্পকারকে জীবন দেখতে হয় বহুভাবে। একভাবে দেখলে যান্ত্রিকতা চলে আসে। জীবনের অপর নাম গল্প। সবার জীবনে গল্প থাকে। এর রূপ ভিন্ন হয়। ঘুমতৃষ্ণা বইটির নামকরণের মধ্যেই আলাদা জিজ্ঞাসা রয়েছে। এই জিজ্ঞাসা তৈরি করাটাও সাহিত্যিকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। দীর্ঘদিন ঘুমাতে পারেন না নগরের স্ট্রেস আর ব্যক্তিক নানান বিপর্যয়ের কারণে! ইনসোমনিয়া হবে তখন। আপনি অবশ্যই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। নিদান হিসেবে আপনি ঘুমের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন, যেভাবেই হোক না কেন! এভাবেই হয়তো ‘ঘুমতৃষ্ণা’ নামকরণ হলো।
আলোচ্য বইটিতে পাঁচটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলো হলো—‘ঘুমতৃষ্ণা’, ‘মাছরাঙা’, ‘লয়ে যাও আমায়’, ‘বেইজক্যাম্পের দিনগুলি’ এবং ‘যৌবনের জন্য শোকগাথা’। প্রতিটি গল্পের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আঙ্গিক ভিন্ন। কখনো চরিত্র, কখনো ঘটনা, কখনো শুধু অনুভূতি, আবহ ও পরিমণ্ডলের ভিন্নতা এনে গল্পগুলো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
পাঁচটি গল্প নিয়ে বইটি রচিত হলেও এগুলো যেন শত শত বছরের গল্প। প্রবহমান সময়ের স্রোতে নারী-পুরুষের অন্তর্গত সম্পর্ক, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সংবেদন, প্রেম ও প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে মনোজগৎ এবং মনোবাসনার অন্তর্লীন আবেগ জীবনার্থের নানা মাত্রা সৃষ্টি করে। ধূসরতা, বিচ্ছিন্নতা, বিপর্যয়, বিষাদের মধ্য দিয়েও কখনো সেসব পরিণতি পায় স্রেফ মুগ্ধতায়। কখনো তা পরিণত হতে চায়, কখনো রূপ নেয় মিলনের মতো শুভ কোনো পরিণামে, কখনো দৈবাৎ ভেঙেও যায় সেই সম্বন্ধসূত্র, কখনোবা একজন জড়িয়ে পড়ে হাজারো মানুষের সঙ্গে, নানাভাবে। নারী-পুরুষের সামাজিক সংযোগ গতিশীল বলেই সম্পর্কের কোনো নির্দিষ্ট রূপ নেই। এর পেছনে ন্যায়-অন্যায় খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন, কেননা এসব চলকের সামাজিক মানদণ্ড তৈরি করে সেই সব মানুষই, নিজেদের বাস্তব প্রয়োজনে! তার চাইতে এমনটাই ভেবে নেওয়া ভালো—প্রায় কুড়ি লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যে মানবসভ্যতা বিকশিত হয়েছে, তার পেছনে ক্রিয়াশীল প্রণোদনার একটা অংশ নিশ্চয় প্রাকৃতিকভাবে পৌনঃপুনিক, তবে তার চাইতেও হাজার গুণে বড় অংশটা হলো নারী আর পুরুষের মাঝের অনিঃশেষ মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে সৃজনশীলতা প্রযুক্ত হয়, সেটা। সেসব সংযোগও হয়ে ওঠে জীবনমুখী, মধুর, অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ! মানবসম্বন্ধের এমন মুহূর্ত, ব্যঞ্জনা, ব্যর্থতা, গ্লানি এবং মাধুর্য ফয়জুল ইসলামের গল্পে রূপময় হয়ে উঠেছে।
চেনা পরিবেশ ও দৈনন্দিন ঘটমান বাস্তবতার মধ্যে ঘূর্ণাবর্ত মানুষের জীবন তিনি তুলে এনেছেন আত্মমগ্ন ভাষায়। কখনো এসব গল্পে খেলা করে জাদুবাস্তবতার ছায়া, কখনো পরিচিত বাস্তব হয়ে ওঠে পরাবাস্তবের ছদ্মপ্রচ্ছদে মুখর। মুগ্ধতার বিপরীতেই বিমুগ্ধতা। প্রত্যাখ্যান। প্রেম থাকলে অপ্রেম আসে। প্রেম-অপ্রেমের খেলাই বিশ্বজগৎ খেলে। পূর্ণতার ভার বহন করতে গিয়েই আসে অপূর্ণতা। মিলনে যখন পরিপূর্ণ হয়, তখন আসে বিচ্ছেদের সুর। যে সুরই বাজাতে হয়। এটিই রসায়ন। যে রসায়নকে বিনিসুতোয় বেঁধে প্রেম-অপ্রেমের সুর তুলেছেন লেখক। কাহিনিগুলো টুকরো টুকরো। কিন্তু ঘোর কাটেনি। বিস্ময় জেগেছে। নতুনের প্রতি বোধ তৈরি হয়েছে। এ-ও হয় বুঝি, এমন প্রশ্ন জেগেছে।
তিন
ফকিরাপুল। শান্তিনগর। মতিঝিল। মালিবাগ। ঢাকার জীবন্ত পদচারণ গল্পগুলোতে। ঢাকা প্রেমনগরী। যেখানে প্রেম বাস করে; কিন্তু প্রেম হারানোর বেদনা এ মরার শহরেই বেশি। একটি গল্পে ভেতরে এতগুলো চরিত্র টেনে নেওয়া দুঃসাধ্য কাজ। তিনি ‘ঘুমতৃষ্ণা’ গল্পে সেটি করেছেন। গল্পগ্রন্থ থেকে—
‘ফাল্গুনের সেই রাতে বাসায় ফিরে মাহবুব রুটিনমাফিক গোসল সেরে কাপড়-চোপড় পাল্টায়। বসার ঘর নামের খুপরিটায় টেলিভিশনের সামনে বসে খবর দেখতে দেখতে সে চা-বিস্কিট খায় প্রতিদিনের মতো। তারপর বারান্দার পুরনো একটা কাঠের চেয়ারে বসে সে একটা সিগারেট ধরিয়ে টানে। সেখানেই সে চুপচাপ বসে থাকে অনেকক্ষণ। চুপ করে থাকতেই ভালো লাগে তার! সারাদিন চৌদ্দ পদের মানুষজনের সাথে বগর বগর করতে হয় বলে বাসায় ফেরার পরে তার ভীষণ ক্লান্ত লাগতে থাকে।...’
নাগরিক জীবনের গল্প। করপোরেট জীবনযাত্রা। যেখানে জীবনবোধ হারিয়ে যায়। নিজের জন্য ভাবনা থাকে না। কথাগুলো ফুরিয়ে যায়, নয়তো স্তব্ধ হয়ে ভোঁতা হয়ে থাকে! বেঁচে থাকার লড়াই! যে লড়াইয়ে নিমজ্জিত হয়ে পরিবার-পরিজন ভুলে যাওয়া। ছুটে চলা। মানুষগুলো ছুটছে। কার পেছনে কেন, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই, শুধু ছুটছে। এসব জাগতিক বিষয় নিয়ে ঘুমতৃষ্ণা বইটি। যেখানে নগরজীবনের দুবির্ষহ চিত্র যেমন ফুটে উঠছে, আবার মায়াবোধও দৃশ্যমান হয়েছে।
একজন গল্পকার চায় অতীত অভিজ্ঞতা, আজকের ভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনাগুলো যাতে অতলগহ্বরে হারিয়ে না যায়। জীবন্ত থাকে জীবনের খাতায়। লিপিবদ্ধ হয় বইয়ের পাতায়। কখনো হার্ডড্রাইভে, কখনোবা অক্ষরে। যেটি যোগাযোগের ভিত্তি তৈরি করে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয় চিন্তার ভিত্তিতে। সম্পর্ক মূলত চিন্তাকাঠামোরই ফসল। এ চিন্তা-সম্পর্কের দৃঢ়, শক্তিশালী বন্ধনের মধ্য দিয়েই গল্পগাথা হয়।
‘মাছরাঙা’ গল্পটিতে মর্মস্পর্শী কাহিনি রয়েছে। মৃত্যু। জাহাজডুবি। সহমরণ। যেগুলো ইতিহাসের অংশ। গল্প থেকে—
‘আমার শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে আছে নগ্ন সিক্স। তার ঘন চুল থেকে টপটপ করে ঝরছে জল। পাণ্ডুর তার গাত্রবর্ণ। এমন বিবর্ণ দেখাবে কেন আমার প্রিয়তমকে যার রূপের কোনো তুলনাই হয় না? কে না জানে, ভোরের তারা লুসিফারের সুন্দর পুত্র আমার প্রিয়তম! আমার প্রিয়তমের গাত্রবর্ণ তো তার পিতার গাত্রবর্ণের মতোই উজ্জ্বল নীল! আজ তবে কেন এত অনুজ্জ্বল দেখাচ্ছে তাকে?’
প্রতিটি শব্দে আবেগ-অনুভূতির তীব্র ছোঁয়া। মর্মাহত। প্রিয়তমার প্রতি প্রেমবোধ। মানুষের মন মানুষের জন্য কাঁদে। আপ্লুত। বেদনাময়। এসব চিত্র গল্পটিতে ফুটে উঠেছে।
‘বেইজক্যাম্পের দিনগুলি’ গল্পটিতে একজন মোতাহারের জীবন তুলে ধরেছে। যিনি অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। ঢাকা শহরের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দায়িত্বে রয়েছেন। মেস জীবন। যেখানে কয়েকজন মিলে থাকেন। বেশ সুন্দর কাটে তাদের দিনগুলো। বাজারসদাই করা। নিজেরা রান্নাবান্না করা।
সোনারগাঁয়ের মেয়ে ফেরদৌসি আক্তার ওরফে শিলামণি। সিনেমার এক্সট্রা অভিনেত্রী। তার সঙ্গে মোতাহারের ভাববিনিময়। মুগ্ধ মোতাহার। এটাই বুঝি জীবনে প্রথম সিনেমার আর্টিস্টের সঙ্গে ভাব।
চুলগুলো খোঁপায় বাঁধা। কিন্তু এলোমেলো। চোখের কাজল ছড়ে গিয়েছে। মেকআপ হয়ে গিয়েছে ছন্নছাড়া। মোতাহারের কোমল হৃদয় ভাবতে থাকে, হয়তো কত কষ্ট করছে, কত জার্নি, জীবনযুদ্ধ! তবু সৌন্দর্যের ভেতর আকুলতা রয়েছে। স্নিগ্ধতায় ভরপুর। একেই কি সুন্দরী বলে! সাবলীল বর্ণনায় জীবনের গভীরতা পরিস্ফুট হয় গল্পে।
এভাবেই প্রেম-অপ্রেমের ছক বেঁধেছে। যে ছকে জীবন গাঁথা। পূর্ণতা-অপূর্ণতার ছাপ রয়েছে। যেখানে রোগ-জরা-ব্যাধির কথা রয়েছে। পৃথিবীর ঘূর্ণিপাকে মানুষগুলো অজানা গন্তব্যে হাঁটছে। গন্তব্যহীন জীবন। যে জীবনকে লেখক এঁকেছেন গল্পের ভেতর।
শীতের আমেজ। পৌষের বিকেলের গল্প এঁকেছে ‘যৌবনের জন্য শোকগাথা’ গল্পে। যেখানে প্রেম হারানোর গল্প রয়েছে। নূরিকে হারিয়েছে জলিল। পথিমধ্যে একদিন দেখা। নূরির সঙ্গে ছোট্ট শিশু। নূরিকে দেখে জলিলের ভেতর মুগ্ধতা খেলে যায়। নূরি অনেক পুরুষ্ট হয়েছে। গায়ের শ্যামলা রং চমকাচ্ছে। মনের অজান্তেই জলিলের ভেতর প্রেম খেলে যাচ্ছে। তাদের ভেতরে যে প্রেম ছিল। চিঠি লেখালেখি ছিল, সেটি মনের অজান্তেই নাড়া দিয়ে যায়।
প্রেমের বোধ যে ম্রিয়মাণ হয় না। তা পুনরায় জেগে উঠতে পারে। আকৃষ্ট করতে পারে পুরোনো প্রেমকে। তা এ গল্পে উঠে এসেছে। জলিল বৃদ্ধ হয়। নূরির যৌবনও শেষ হয়। তাদের ভেতরে পুরোনো স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। প্রেম। সঙ্গম। যৌবনের হাসিখেলা মনকে উদ্বেলিত করে। ক্ষণিকের জন্য পুরোনো স্মৃতির ভেতর হারিয়ে যায়। কৈশোর-যৌবন-বৃদ্ধ প্রতিটি ধাপের আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। ব্যাকুল হওয়ার আকুলতা রয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে।
পরিশেষে বলা যায়, ‘ঘুমতৃষ্ণা’ চমৎকার-সাবলীল একটি বই। যেখানে গল্পের ভেতরে পাঠক বাস্তব জীবনকে খুঁজে পাবেন। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা নির্দিষ্ট ঘটনার ওপর দাঁড়িয়ে গল্পের প্লট দাঁড়ায়নি। আশপাশের বহু ঘটনার সেখানে উঠে এসেছে। রাস্তাঘাট, জায়গা, পুকুর, নদী এবং বাড়ির সদস্যদের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেটি এ বইয়ের বিশেষত্ব। গল্পের পর গল্পে পাঠকের মধ্যে ঘোর তৈরি করতে সক্ষম বইটি।
এখানে গল্পের চরিত্র নির্মাণে ভালো-মন্দের বাইনারি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন লেখক। সততার ভেতর যে প্রতারণার ছায়া থাকে। ঘটনার বিপরীতে ঘটনা থাকে। প্রেমের মাঝে অপ্রেম। দুটি ভিন্ন বিপরীত বস্তু আমাদের সঙ্গে সমান্তরালে চলতে থাকে। জীবনকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়, একপক্ষীয়ভাবে ভাবাটা অসম্পূর্ণ সেটি এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সমাজ, মানুষ, ব্যক্তিজীবনকে বুঝতে, নিজের চিন্তার বিকাশে সুস্থ সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই। ‘ঘুমতৃষ্ণা’ বইটি সেদিকেই মনোনিবেশ করেছে। বাহুল্য নেই। অতিরঞ্জন নেই। চর্বিতচর্বণ নেই। শব্দের বুনন, শব্দের ভেতর জীবনকে খুঁজে ফেরার যে আকুতি, তা বইটিতে পাওয়া যায়। না আনন্দ, না আঘাত—জীবনের দোলাচলে দোল খেয়ে পাঠককে যা চিন্তার খোরাক জোগাবে।
অসাধারণ লিখেছেন। আপনার লেখা পড়ে ঘুম তৃষ্ণা বইটা অর্ডার করলাম রকমারি ডট কম এ... ধন্যবাদ আপনাকে
তালহা জুবাইর
অক্টোবর ১৩, ২০২২ ২২:১৮