গুড়বাবা
► লেখকের নোট: পাশ্চাত্যের ‘সুগার ডেডি’ কনসেপ্ট মাথায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে গল্পটা লেখা। গল্পের চরিত্র ও স্থান কাল্পনিক।
অস্থির পুরুষের ব্রা-র আংটা খোলার বিড়ম্বনার ভাষা প্রথম পড়তে পেরেছিল ভিক্টোরিয়া সিক্রেট। তাদের টানাটানির পশ্চাৎ দরোজা ছেড়ে সমুখ দরোজার আসার রহস্য জানতেও তিন দশক লেগে গেছে। বিএ ফেল সফল ব্যবসায়ী এবং ভালো মানুষ হিসেবে খ্যাত কুদ্দুস সাহেব যখন আশির দশকে বাসরঘরে ঢুকে সেই আংটা খোলার বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলেন, তার ছেলে টনি ত্রিশ বছর পর এসে টানাটানি থেকে মুক্তি পেয়েছিল ঠিক কিসের কল্যাণে—এ মুহূর্তে সে বিজ্ঞাপন জরুরি নয়। বিশেষ করে প্যারিস-টরন্টো ঘুরে আসা সাবেক আমলা তনয়ার বক্ষ-বন্ধনীর সিক্রেট উন্মুক্ত করতে গিয়ে এসব কথা এখন ওপেন সিক্রেট। তারপরও বলতে হয়, টনি মিয়া গাজীপুরের কোনো এক হলিডে রিসোর্টে ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের সিক্রেট ওপেন করার হাতেখড়ি নিয়েছিল দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মায়েশা নামের এক বোমবাস্টিং গার্ল ফ্রেন্ডের কাছ থেকে, যার উচ্চবিত্ত বাবা-মা ছাড়াছাড়ির বিড়ম্বনা কাটিয়ে মেয়েকে স্বাধীন করে দিয়ে ছিল যৌবনের সিঁড়িতে পা দেবার আগেই।
টনি সিক্রেট ওপেন করে যত না বিস্মিত ছিল, তার চেয়ে বেশি বিস্মিত ছিল মায়েশার বিশাল এক জোড়া বিলেতি পায়রার বাকুম বাকুম দেখে। বলতে দ্বিধা নেই পুরুষমাত্রেই এইখানে—ওহ! মাইগড!! টনির আর কী দোষ! টনি কী করবে বুঝতে না পারায় বিমূঢ়তার মাঝে হঠাৎ লক্ষ করল মায়েশা তার কানসহ মাথা টেনে বাকুম বাকুমের মাঝখানে চেপে ধরল। নরম বালিশের মাঝে নাক ডুবিয়ে শ্বাস বন্ধ হবার কথা ছিল টনির। কিন্তু হলো অন্য কিছু। এই সেরেছে রে...! মনে হয় টয়লেটের ছোট কলটা লিক হয়ে গেছে! মায়েশা এক ধাক্কায় টনিকে সরিয়ে দিয়ে বলেছিল তোমার মতো অস্থির পুরুষ দিয়ে আমার হবে না। আই নিড স্ট্রং এন্ড—এ পর্যন্ত বলে থেমে গিয়েছিল কি না জানি না, কিন্তু আমাদের থামতে হবে। প্রথমবার সাঁতার শিখতে গেলে দুয়েক ঢোঁক জল তো পান করতেই হয়। এ ব্যর্থতা, ব্যর্থতা নয়; সফলতার সিঁড়িতে যে পা রাখার চেষ্টা, তা বুঝে টনি মায়েশায় মতো অভিজ্ঞ হেডমিসট্রেসকে ত্যাগ করে হাত বাড়িয়েছিল এক নবাগত সুন্দরীর দিকে। বন্ধু বাইকার বটুর ফ্ল্যাটে ইয়াবা সেবন করতে গিয়ে পরিচয় এই জুলিয়া রবার্টস ওরফে জুলিওর সঙ্গে।
উচ্চ মধ্যবিত্ত ঘরের এই সুন্দরীর আসক্তি ছিল নেশায়। শরীর তখনো তাকে সোনালি ডানার চিল হয়ে আকাশে ডানা মেলতে শেখায়নি। একদিন ইয়াবার অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে নির্জন দুপুরে বাইকার বটুর ফ্ল্যাটে কোনো এক ঘোরের মধ্যে টনি তাকে নিয়ে বিছানা ভেবে বাথটাবে নেমেছিল। কাপড় খোলা-খুলির লটারিতে হারিয়ে বাথটাবের গরম জলে নিজের অজান্তেই উষ্ণ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন জুলিওকে পেছন থেকে হাত দিয়ে জোঁকের মতো জড়িয়ে রেখেছিল টনি। সেই প্রথম দেহতত্ত্বের হাতেখড়ি। প্রথম দিন তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় দিন জুলিও টের পেয়েছিল নকশিকাঁথা কেমন করে সেলাই করা হয়। আর তৃতীয় দিন সে জেনেছিল ডটেড আর নরমালের মধ্যে পার্থক্য।
কুদ্দুস সাহেবের তো পয়সাকড়ির অভাব ছিল না। রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা দিয়ে ঠিকাদারি করে অন্য অনেকের মতোই মাল-কড়ি কম কামাননি। তাই তার কড়ির সদ্ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে টনি মিয়া শ্রাদ্ধের হালখাতা শুরু করেছিল স্বল্প বয়সেই, সেই নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। বিদ্যা-বুদ্ধিতে সেখান থেকে বেশি দূর যেতে না পারলেও প্রথমে ফেনসিডিল পরে ইয়াবার বহুমুখী কার্যকারিতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছিল। এবং আরও পরে এলএসডি।
টনি মিয়া দুই সেমিস্টারের মাঝখানে ফিল্ড ওয়ার্কের নাম করে জুলিওকে নিয়ে গিয়ে উঠেছিল কক্সবাজারের মারমেইডে। একেবারে প্রাইভেট সাগর সৈকতে। গালফ্রেন্ডকে নিয়ে সেই প্রথম মধুচন্দ্রিমা। আর সেখানেই কট-বিহাইন্ড মায়েশার কাছে। কারণ মায়েশাও এসেছে। তার সাথে তাদেরই ভার্সিটির বয়স্ক একজন অধ্যাপক। অভিজ্ঞদের প্রতি মায়েশার আগ্রহের গল্প তো টনি জানে। তাই মায়েশার সুগার ড্যাডি ওরফে গুড়বাবাকে দেখে তেমন একটা অবাক হয়নি। এগুলো এ প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একশ্রেণির মেয়েদের ওপেন সিক্রেট। টনিরা জেনে গেছে, প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের মতোই প্রতি সেমিস্টার ব্রেকে মায়েশার গুড়বাবার পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। মা-বাবার ব্রেকের পর এটা মায়েশার জীবিকার পথ কি না, তা সে জানে না। কিন্তু গাজীপুরের রিসোর্টে মায়েশার সঙ্গে কাটাবার সময় ছোটকল লিক হবার ঘটনা নিয়ে মায়েশা নতুন করে বিড়ম্বনা তৈরি করে তাকে লজ্জায় ফেলে দেয় কি না, সেই ভয়ে কিছুটা সেঁটিয়ে ছিল টনি। আর মায়েশার সাথে জুলিওর দেখা হতেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল মায়েশা। সেই সঙ্গে বৈচিত্র্যপিয়াসী মায়েশা টনি ও জুলিওকে এক নতুন এবং অভিনব প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটা শোনার পর তো জুলিওর নাক-কান সবই গরম হয়ে গেল। যৌথ প্রযোজনার কামসূত্র চিত্রায়ণের মায়েশার সে প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত যে নাকচ হয়ে গেল—তার কারণ অবশ্য গুড়বাবা। সম্ভবত তিনি অতটা নামতে পারবেন না। তা মায়েশা যতই জোরাজুরি করুক না কেন। টনি হাঁপ ছেড়ে বাঁচল এবং মনে মনে ধন্যবাদ দিল গুড়বাবাকে। মায়েশার উৎপাতের কথা বাদ দিলে সেবার সেমিস্টার ব্রেকটা টনি মিয়ার ভালোই কেটেছে, বিশেষ করে জুলিওর একান্ত সান্নিধ্যে।
মায়েশার কাছে চার্জার ধার করতে গিয়ে যে ফুল চার্জ হয়ে আসতে হবে, টনি তা বুঝতে পারেনি। মারমেইডে টনিদের কুঁড়েঘর থেকে মায়েশাদের কুঁড়েঘর একটু দূরে। টনির আইফোনের চার্জারের তার ছিঁড়ে গেছে। সেটা ধার করতে গিয়ে দেখে, মায়েশা ঘরে একা একটা তোয়ালে পেঁচিয়ে বসে হেনিকেন বিয়ার খাচ্ছে। টনিকে দেখেই তার পুরাতন প্রেম যেন উথলে উঠল। তার গুড়বাবা গেছে কক্সবাজার শহরে কী যেন কিনতে। কটেজে মায়েশা একা। টনি বরাবরই বেশ হ্যান্ডসাম। তার মায়াবি চোখে চোখ পড়লে মেয়েরা সহজে সরিয়ে নিতে পারে না। মায়েশাও টনির এই চোখের প্রেমে পড়েছিল প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হবার পর।
কিছু কিছু ছেলের স্বভাব যেমন সুন্দরী মেয়ে দেখলেই কামনায় মূর্ছা যায়, মায়েশাও অনেকটা তেমন। সুন্দর ছেলে দেখলেই তার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। আর এসব করে লেখাপড়ার বারোটা বাজিয়েছে। এখন সে কোন সেমিস্টারে, তা কেউ জানে না। তবে প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে আসে এবং অনেকের সাথেই তার দারুণ খাতির বিশেষ করে সিনিয়র স্টুডেন্ট এবং কয়েকজন শিক্ষকের নাম রয়েছে এ তালিকায়। এখন টনিকে একলা পেয়ে মায়েশা সুযোগটা ছাড়ল না। এ যেন অনেকটা পরীক্ষা করার মতো যে, হে টনি এখনো কি তোমার নাক টিপলে দুধ পড়ে, নাকি ছোটকল লিক হয়ে যায়? মায়েশা এক ঝটকায় নীল তোয়ালে খুলে ফেলে মাথায় ভেজা চুল ঝাড়া দিয়ে টনির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুধু ঠোঁটের ইশারায় চুপ থাকতে বলে বলল, এত দিনে তুমি থিয়োরিটিক্যাল বিদ্যা থেকে কতটা প্র্যাকটিক্যাল শিখেছ, তা টেস্ট করতে চাই। এবং অতঃপর টনিকে চার্জার দেবার পরিবর্তে শুধু প্র্যাকটিক্যাল চার্জই দিল না একটি সার্টিফিকেটও দিল। সেখানে লেখা ছিল, টনি তুমি বি-প্লাস গ্রেড পেয়ে পাস করেছ। তবে আগামীতে তোমাকে এ-প্লাস পেতে হবে। এবং সে পরীক্ষার পরীক্ষক আমিই হব।
টনি কিছুটা হতবিহ্বল হলেও মায়েশার ক্রীড়া পারদর্শিতায় শরীর ও মনে বিস্ময় ও আনন্দচিহ্ন তো নিলই। জুলিওর কাছে ধরা পড়ার ভয়ে ঘরে ফেরার আগে বালিতে গড়াগড়ি খেয়ে কাঁকড়ার ওপর দাগের দায়িত্ব চাপিয়ে এযাত্রায় পার পেয়ে গেল।
নতুন এবং চূড়ান্ত সেমিস্টার শুরু হলে ক্যাম্পাসে একদিন মায়েশার সাথে টনির দেখা। টনিকে মায়েশা গুলশানের একটি ফ্ল্যাটের ঠিকানা দিয়ে সন্ধ্যায় আসতে বলল। জরুরি আলাপ আছে। মারমেইডে বি-প্লাস পাওয়া অভিনব স্মৃতির কথা মনে পড়ে পুলকিত হলো টনি। আর ভাবল, এবার যদি এ-প্লাস পাওয়া যায়।
সেই সুনসান সন্ধ্যায় টনি গুলশান চৌত্রিশ নাম্বার রোডের ফ্ল্যাটে লেকের পাড়ে এক নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হলো, যার নাম এলএসডি। সেখানেই পরিচয় হলো আকিব, সাকিব, সালেকিন ও রুমকির সাথে। ওরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। গোপনে এলএসডি সেবন ও বিক্রি করে।
টনি সেদিন প্রথম এলএসডির স্বাদ গ্রহণ করে পাগলা ঘোড়া হয়ে গেল। তার মনে হলো মস্তিষ্কের খোলের ভেতর কিছু নেই। হু হু করে বাতাস ঢুকছে আর যেন বৈশাখী মেঘের মতো উড়ে চলছে আকাশে আকাশে। আর কিছুক্ষণ পর পর ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছে। পৃথিবী নামক এই গ্রহে সে যেন একা। তার কেউ যেন নেই, সেই রকম কান্না। টনি জীবনে কম নেশা করেনি। কিন্তু ওর সঙ্গে কোনোটাই মেলে না। মনে হচ্ছে, ঘরের দরজা ভেঙে ছাদে গিয়ে ছাদের ওপর থেকে লাফ দিলে সে মুক্তি পাবে। সেই রাতে তার আর বাসায় ফেরা হয়নি। রাতে ফিরবে না এমন একটি এসএমএস তার মোবাইল থেকে মায়েশা পাঠিয়েছিল। পরদিন সকালে টনি মনে করতে পারল যে, কোনো এক সময় জন্মদিনের পোশাকে মায়েশা ও রুমকি তাকে নিয়ে বিশাল বাথটাবের গরম জলে ঢুকে পড়েছিল। এর বেশি কিছু জানে না কিংবা মনে নেই তার।
অল্প দিনের মধ্যে টনি মিয়া এলএসডিতে আসক্তির পাশাপাশি এর একজন বিক্রেতাও হয়ে দাঁড়াল। প্রতিদিনের নেশার জন্য তার প্রায় তিন হাজার টাকা লাগত। এ টাকা সে দু-পাঁচজনের কাছে বিক্রি করে তুলে ফেলল। ক্রমে ক্রমে এলএসডি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে পড়ল, সেই সাথে অনেক নগদ পয়সায় তার পকেট ভরে উঠল। এলএসডিতে আসক্ত হবার পর একসময় তার গার্লফ্রেন্ড জুলিওর সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেল। কিন্তু অল্প দিনেই রুমকি হয়ে উঠল তার নতুন গার্লফ্রেন্ড আর মায়েশার সাথে পার্টটাইম তো আছেই।
এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গানপাগল ছেলেমেয়ে ক্লাউড নামে একটা নতুন ব্যান্ড দল গড়ে তুলল। ঠুসঠাস ড্রাম বাজিয়ে আর ধুপধাপ নাচানাচি করে অল্প দিনে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে গেল। সেই দলের ভোকালিস্ট রূপসী নূপুর এলএসডি গ্রুপে ঢুকে টনি মিয়াকে নিয়ে টানাটানি শুরু করল। কিন্তু রুমকি আর মায়েশার জন্য পারল না।
এক রাতে পাঁচতারা হোটেলে প্রোগ্রাম করে এলএসডির নেশার ঘোরে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপিয়ে নূপুর সুইসাইড করলে পুলিশ-ডিবি বিষয়টা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। নূপুরের বাবা ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক। কাজেই ডিবি এত দিনে সন্ধান পেল এলএসডি নামের এক নতুন মাদকের, যাতে নূপুর আসক্ত ছিল। কিন্তু কারা এর হোতা, তা পুলিশ তখনো জানে না। তদন্তে নেমে পড়ল তারা।
এর কিছুদিন পর শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতানে সুইট বুক করে টনিদের এলএসডি গ্রুপ গেল ফুর্তি করতে। ওরা যাবার দুদিন পর মায়েশা এল সুলতানে তার নতুন গুড়বাবাকে নিয়ে। মায়েশা হোটেলে উঠে টনিকে ফোন করতেই সে জানাল, বাইরে আছে, ফিরতে দেরি হবে। মায়েশা রুম নাম্বার জানিয়ে বলল, হোটেলে ফিরলে দেখা করতে। এলএসডির নেশায় হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে হোটেলে ফিরল টনি। বর্ষায় শ্রীমঙ্গলের গাছে গাছে তখন সবুজ অন্ধকার। নেশায় মাতোয়ারা টনি বন্ধুদের হাত ধরে মেঘ হয়ে উড়ছে যেন একটি কুঁড়ি দুটি পাতার বাগিচায়। টলতে টলতে হোটেলে ফিরে মায়েশার রুম খুঁজে বের করে কলিংবেল বাজাল। একটু পর দরজা খুলে কোমরে টাওয়েল জড়ানো যে বয়স্ক ভদ্রলোক তার সামনে দাঁড়ালেন, তিনি টনির ড্যাডি কুদ্দুস মিয়া। দুজন দুজনের দিকে হাঁ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর বিধ্বস্ত জনপদ দেখার মতো। এমন সময় ঘরের ভেতর থেকে বস্ত্রশূন্য মায়েশা এগিয়ে এসে বলল, ওহ নো টনি নটিবয়, হি ইজ মাই নিউ সুগার ড্যাডি।
ঠিক সেই সময় পুলিশের কয়েকটা গাড়ি হোটেলে ঢুকে পড়ল।
গল্পের শেষাংশে সুগার ড্যাডি হিসেবে কুদ্দুস মিয়ার আগমণ আমাদের কল্পনা কে উদ্দীপ্ত করেনা।
সুব্রত কিশোর রায়
আগস্ট ০৪, ২০২১ ১২:১৮
আমাদের ঘুণে ধরা মগজে আঘাত করবার মতো অসাধারণ এক মনস্তাত্ত্বিক গল্প লিখেছেন স্যার।অনবদ্য????
Sayem Sadat
আগস্ট ০২, ২০২১ ১৪:৫৭